২৪২ জন নিয়ে লন্ডন যাচ্ছিল বিমানটি, উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক লাশ

বিশ্ব

ভারতের পশ্চিম উপকূলের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে যাত্রীবাহী একটি বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার পরিচালিত বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের ওই বিমানে অন্তত ২৩২ জন যাত্রী ও ১০ জন কেবিন স্কু ছিলেন। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুঘর্টনার পর উদ্ধার করার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একের পর এক লাশ বের করা হচ্ছে বিমানের ভেতর থেকে।

জানা গেছে, এআই-১৭১ নম্বরের এ বিমানটি দুপুর ১টা ১০ মিনিটে অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকালয়ের মধ্যে বিমানটি ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়েছে দমকলের বহু ইঞ্জিন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আপাতত দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের সকল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিমানটি কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে। ফলে সেটি বেশি উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেনি। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটির ধ্বংসাবশেষে আগুন ধরে গেছে এবং ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উড়ছে। বিমানবন্দরের কাছাকাছি আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ভিডিওতে বিমানবন্দরে সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় আহতদের উদ্ধার করে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয়। স্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কয়েকজন যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অহমদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মেঘানিনগরে একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটি কোন ধরনের বিমান, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতোমধ্যেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূূপেন্দ্র পটেলকে ফোন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গুজরাত সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘অহমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত। আমি প্রশাসনিক আধিকারিকদের দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহতদের চিকিৎসা করারও নির্দেশ দিয়েছি।’ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রিন করিডর করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *