বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। শনিবার (৬ মে) সকালে এ পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলই ছিল বৃষ্টিহীন। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে মাইজদী কোর্টে। এছাড়া মাদারীপুরে ৪, ফেনীতে ১, কুতুবদিয়ায় ২, পটুয়াখালীতে ৫, ভোলায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সিলেট ও বরিশালের সামান্য বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরও জানান, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
লঘুচাপটি শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং শেষে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’য় রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা কোন দিকে যাবে তা এখন স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শেয়ার করুন