ভোলার তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে অকটেল ও ডিজেল নিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজটি এখনো উদ্ধার হয়নি। তেলবোঝাই জাহাজটি মালিকপক্ষ থেকে নিজ উদ্যোগে উদ্ধারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।ডুবে যাওয়া সাগর নন্দিনী-২ জাহাজের মাস্টার মো. মাসুদুর রহমান বেল্লাল বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এরইমধ্যে সাগর বধূ-৩ নামে একটি জাহাজ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে ও বিকেলের দিকে আরেকটি জাহাজ এসে পৌঁছাবে।
দুইটি জাহাজ মিলে ওই ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু হওয়ায় কথা রয়েছে।এদিকে, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট এম হাসান মেহেদী জানান, তারা রোববার সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং জাহার ও নদীতে ভাসতে থাকা তেল উদ্ধার কাজ শুরু করেন। সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চললেও জোয়ারের কারণে বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কী পরিমাণ তেল উদ্ধার হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কোস্টগার্ড।
অপরদিকে, তেলবাহী জাহাজ ডুবির ঘটনায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির পক্ষ থেকে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছেন।পদ্মা অয়েল কোম্পানির এজিএম ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তেলবাহী জাহাজটির দুর্ঘটনার কারণ ও সার্বিক বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এতে পদ্মা অয়েল কোম্পানির জিএম মো. আসিফ মালেককে আহ্বায়ক, উপ-ব্যবস্থাপক ইমরানুল হাসান চৌধুরী ও বিপণন কর্মকর্তা মো. শফিউল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
এর আগে রোববার ভোর ৪টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি ইলিশবাড়ি পর্যটন কেন্দ্র সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পেছন থেকে একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাগর নন্দিনী-২ নামে তেলবোঝাই জাহাজটি। পরে জাহাজে পানি প্রবেশ করে সেটি ডুবে যায়।জাহাজের স্টাফরা জানিয়েছেন, শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯০০ টন অকটেল ও ডিজেল লোড করে চাঁদপুরের ৫ নম্বর ঘাটে পদ্মা ডিপোর উদ্দেশ্যে ১৩ জন স্টাফসহ রওয়ানা হয়েছিল জাহাজটি। ডুবে যাওয়া জাহাজের সব স্টাফকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শেয়ার করুন