আগামী ৩ বছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব। এজন্য অযৌক্তিক খরচ কমানো এবং ঘাটতি সমন্বয়ের দাবি তাদের।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি খাতের সংস্কারে কমিশন গঠনসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি। এসময় দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ ও বিচারেরও আহ্বান জানানো হয়।
গত বছর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত, ৪ দফায় বিদ্যুতের মোট দাম বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। যার মাশুল গুণতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাকে।
ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে খরচ প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা। যার সিংহভাগই গেছে আওয়ামী লীগ সরকার ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন কোম্পানির ভাণ্ডারে। প্রতিযোগিতা এড়িয়ে, যেমন খুশি তেমন দামে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিক্রির মাধ্যমে লুটপাট হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। ক্যাবের দাবি, কেবল ২০২২ সালেই বিদ্যুৎ খাতে লোপাট হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি খাতের বেশকিছু সংস্কারের দাবি তুলে ধরে ক্যাব। তেলের দাম ঠিক করতে সদ্য সাবেক সরকারের পথে না হাঁটার আহ্বান তাদের।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, ‘যে সব ব্যয় সংযোজন করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার সব কিছুই তারা আড়াল করেছে এবং আড়াল করে যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত। যারা আড়াল করেছে তারা অলিগার্গ। এই অলিগার্গ নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য ভয়ংকর রকমের চ্যালেঞ্জিং। যদি আমরা সরকারের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হই তাহলে সরকারও ব্যর্থ হবে।’
মুনাফাবিহীন নীতি গ্রহণের তাগিদের পাশাপাশি পেট্রোবাংলাসহ জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্ব বন্ধের দাবি জানায় ক্যাব।
সংগঠনটির আইন উপদেষ্টা জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘লুণ্ঠনমূলক ব্যয়টাকে যদি আপনি বন্ধ করতে পারেন তাহলে কিন্তু এই ঘাটতিগুলো সমন্বয় করা সম্ভব। ভোক্তার জ্বালানির অধিকার সম্পর্কে, জ্বালানির সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি কর্মপরিকল্পনা, আবার একই সাথে দেখবেন যে একটি অ্যাকশন প্ল্যানও কিন্তু আমরা চাইছি।’
অনিয়ম-দুর্নীতি করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সুবিধা নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ বাজেয়াপ্তের পদক্ষেপও চাইছেন ভোক্তারা।
শেয়ার করুন