সিলেটে মাসব্যাপী এসএমপির ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে সড়ক পরিবহন আইনে ৫ হাজার ১৬৫টি মামলা রুজু করা হয়। আটক করা হয় ৩ হাজার ৩৭১টি যানবাহন।
রেকর্ডকৃত মামলার বিপরীতে ২ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হলেও আদায়ের পরিমাণ ১ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার ৩০০ টাকা।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পরিপন্থী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আগস্ট ২০২২ মাসে ব্যাপক অভিযান চালায় এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
অভিযানকালে রেজিস্ট্রেশন বিহীন যানবাহন, ট্রিপল রাইডিং, হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালানো, গাড়িতে কালো গ্লাস পেপার লাগানো, যানবাহনে ওভার লোডিং, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো, হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহারের কারণে এসব মামলা দেওয়া হয়।
রুজুকৃত ধারা সমূহ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৯২(১) ও ৯২(২) ধারায় মোট ২ হাজার ২৩২টি মামলা রুজু হয়। মামলার প্রায় ৪০ শতাংশ হেলমেট ব্যবহার না করায়। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং উল্টোপথে মোটরযান চালানো চালকের সংখ্যাই বেশি।
এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন ১২৫টিসহ মোট ১ হাজার ২৬১টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ৫৬৯টি প্রাইভেট কার, ১৬৩টি মাইক্রোবাস, ১৯টি ট্রাক, ৫টি বাস, ৮২টি লেগুনা-পিকআপ এবং ১৫টি টেম্পুতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়। এর মধ্যে ২৩৪টি যানবাহনে অনুমোদনহীন কালো গ্লাস পেপারের জন্য সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৮৪ ধারায় প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
নিয়মিত মামলার পাশাপাশি ১ হাজার ৭৩২টি কাউন্টার মামলা দাখিল করা হয়। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ধারা (৭২) মূলে রেজিস্ট্রেশন না থাকায় ১০৫টি এবং ধারা (৬৬) মূলে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ৮৫২টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়, যা মোট মামলার প্রায় ১৭ শতাংশ।
মামলা রুজুর পাশাপাশি প্রায় ৩ হাজার ৪০০টি যানবাহন জব্দ করা হয়। এরমধ্যে মোটরসাইকেল ১ হাজার ৯৪৮টি, অটোরিকশা ৩১৮টি, টমটম-৭৭টি, ব্যাটারি চালিত রিক্সা-৭৯৪টি ও ব্যক্তিগত যানবাহন (প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ) ২২৭টি। যানবাহন সমূহের কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আটকের মাধ্যমে ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠানো হয়।
এসএমপির ট্রাফিক বিভাগের তথ্যমতে, গতবছর আগষ্ট মাসের তুলনায় এবছরের আগস্ট মাসে ১ হাজার ৫৫১টি মামলা বেশি রুজু করা হয় এবং ১ হাজার ৮৩টি যানবাহন বেশি আটক করা হয়েছে।
শেয়ার করুন