৬ মাসেও খোঁজ মিলেনি মৌলভীবাজারের এডভোকেট মিজানের

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের রাজনগরে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মিজানুর রহমান (২৮) নিখোঁজ হওয়ার ৬ মাস পরও তার সন্ধান মিলেনি তিনি কি কারণে নিখোঁজ হলেন বা আজও বেঁচে আছেন কি-না শঙ্কায় রয়েছে তার পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশও রয়েছে অন্ধকারে।

জানা যায়, স্টুডেন্ট ভিসায় ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল মিজানের। গত বছরের ১১ জুলাই এম্বেসি থেকে ভিসা আনার ১ দিন আগে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। দীর্ঘ ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এ ব্যাপারে কোন সন্ধান করতে পারেনি।

মিজানুর রহমানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুরিখাল গ্রামের প্রবাসী আবুল হাসানের ছেলে মো. মিজানুর রহমান সিলেট বারের শিক্ষানবিশ এডভোকেট ছিলেন।স্টুডেন্ট ভিসায় ইংল্যান্ড যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ভিসার জন্য ইংল্যান্ড এম্বেসিতে পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন।পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য এম্বেসি থেকে তাকে ই-মেইল পাঠায়।১১ জুলাই মঙ্গলবার পাসপোর্ট গ্রহণের যাওয়ার কথা বলে দেয়।কিন্তু এর আগের দিন সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন। মৌলভীবাজারে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে, এডভোকেট মিজানুরের ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল ১০ জুলাই সর্বশেষ ১০টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত খোলা ছিল।এ সময় তিনি সিলেট- ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের বাধবাজারে ছিলেন। এরপর থেকে এখনো মোবাইল বন্ধ রয়েছে। নিখোঁজের ঘটনায় ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও তার কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সম্ভাব্য সব কিছুই মাথায় রেখে তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। মোবাইলের কল লিস্ট নিয়ে বিভিন্নজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। তবে, মিজান নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে কোন তথ্য পায়নি। এছাড়াও রাজনগর থানার পুলিশ, র‍্যাব, সিআইডি, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় নিখোঁজের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

মিজানের চাচা মজনূর রহমান মেম্বার জানান, সৌদিআরব প্রবাসী আমার ভাই আবুল হাসানের বড় ছেলে মিজানুর রহমান।দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে সে সকলের বড়।সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে পড়ালেখার জন্য যেতে সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে। এখন তার ভাতিজা কি অবস্থায় কেমন আছে আল্লাহ ভাল জানেন। ভাতিজাকে ফিরে পেতে বান্দরবন থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করছি। কিন্তু তার সন্ধান পাচ্ছি না ।

রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেক বলেন, আমি আসার পর বিষয়টির খোঁজ নিয়েছি। এখন মামলাটি সিআইডিতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *