কাতার বিশ্বকাপের সেরা গোলটা হয়তো গতকালই দেখে নিয়েছে ফুটবল দুনিয়া। লুসাইল স্টেডিয়ামে সার্বিয়ার জালে ৭৩ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক গোল করেন রিচার্লিসন। ভিনিসাসের বাতাসে ভাসানো বলে বাইসাইকেল কিকে। এমন এক গোলের পর দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল অবর্ণনীয়। কোচ তিতেকে জড়িয়ে ধরে উৎসব শুরু করে দেন ব্রাজিলের অফিশিয়ালরা। মাঠে তখন রিচার্লিসনকে নিয়ে নেইমারদের ভিন্ন রকমের উৎসব। এই গোলের আগে ৬২ মিনিটেই ব্রাজিলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রিচার্লিসন। তার দুই গোলেই ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে উৎসব করতে করতে লুসাইল স্টেডিয়াম ছেড়েছে ব্রাজিল।
তবে ব্রাজিলের গোলে অবদান রাখতে না পারলেও দলটির এমন জয়ে বড় ভূমিকাই রেখেছেন নেইমার। যার প্রমাণ মিলবে পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে। সার্বিয়া ম্যাচে ৯ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন ব্রাজিলের এই মহাতারকা। বিশ্বকাপে এক ম্যাচে এর চেয়ে ফাউলের শিকার হননি আর কেউই। শেষমেশ মাঠ ছেড়েছেন ডানপায়ের অ্যাঙ্কেলে চোট নিয়ে।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে অ্যান্টনিকে মাঠে এনে তাকে তুলে নেন কোচ তিতে। তিনি যখন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন পুরো ব্রাজিল দল তার চারপাশে ঘিরে ধরেছিল। সবার চোখে-মুখে চিন্তার ভাঁজই বলে দিচ্ছিল, চোটটা বড় দুশ্চিন্তাতেই ফেলে দিয়েছে সবাইকে।
ম্যাচ শেষে ব্রাজিল কোচ তিতে এলেন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে দাপুটে জয়ের তৃপ্তির চেয়ে দুশ্চিন্তাই ভেসে উঠছিল তার চোখে মুখে। নেইমারের চোট কতটা গভীর, বিশ্বকাপে তার খেলায় কোনো সমস্যা হবে কি না, সেটা যে এখনো অজানা তারও!
এরপর অবশ্য ব্রাজিল দলের ডাক্তার রদ্রিগো লাসমার জানিয়েছেন, নেইমারের পা মচকেছে। তবে এই চোট কত গভীর, সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা।
নেইমারের পায়ের অবস্থা দেখা গেছে ছবিতে, সেখানে দেখা যাচ্ছিল, পায়ের গোড়ালি ফুলে গেছে তার। মাঠ ছাড়ার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়ছেন তিনি। তাতে চোটটা গভীর বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
শেয়ার করুন