মোংলা পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযান

জাতীয়

শেখ রাসেল
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি

মোংলা পৌর শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশে অবৈধ দখল, স্থাপনা অপসারণের লক্ষে, শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত রাখতে এক ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে মোংলা পৌর্ট পৌরসভা।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান এর নেতৃত্বে পৌর এলাকার বাজার মসজিদ রোড ও বাজারসহ পৃথক কয়েকটি স্থানের ফুটপাতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ অভিযানে ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বেশ কিছু দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। এসময় পৌরসভা আইনে অবৈধ দখলকারীদের ৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও তা আদায় করা হয়।

জানা যায়, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের সুবিধার্থে পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শুক্রবার দুপুর মোংলা পৌর শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এসময় অবৈধভাবে দখলকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিতও করা হয়েছে। জনস্বার্থ ও জনপ্রয়োজনে পরিচালিত পৌর কর্তৃপক্ষের প্রশংসনীয় এ অভিযানে সহায়তা করে মোংলা উপজেলা ও থানা প্রশাসন।

অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান, পৌরসভার নিবার্হী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও পৌরসভার কর্মকর্তা ও পুলিশ, পৌরসভার অন্য কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এ সময় অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে মালামাল রেখে দেয়ায় বেশকিছু মালামাল জব্দ করা হয়।

অভিযান শেষে পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান সাংবাদিকদের জানান, ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার কারণে সৃষ্ট যানজটে পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই পৌর নাগরিকরা যেন নির্বিঘ্নে রাস্তায় চলাচল করতে পারেন এবং শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার অংশ হিসেবেই ফুটপাতগুলোতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। জনদূর্ভোগ লাঘব এবং সাধারণ পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের ব্যবস্থাসহ মোংলা পৌরবাসীর স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের পথ স্বাভাবিক রাখতে এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান।

পৌরসভার নিবার্হী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ফুটপাতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো মালামাল রেখে দেওয়ার কারণে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের জন্য আমরা এ অভিযান চালাই। ছয়টি দোকানকে আমরা ছয় হাজার টাকা অর্থদন্ড করছি। ভবিশ্যতে আমরা আরো কঠোর হবো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *