শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৫৭ মিনিট। দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের সিলেট ব্যুরো প্রধান ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য শাব্বীর আহমদ ফয়েজের মুঠোফোনে একটি নাম্বার থেকে কল আসে। রিসিভের পর ওপ্রান্ত থেকে বলা হয়- ‘স্যার, আমি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ফরিদ বলছি। করোনাকালীন সময়ে ট্রাস্ট থেকে আপনি ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন ব্যাংকের মাধ্যমে। এবার আপনার জন্য ৩০ হাজার টাকা বরাদ্ধ হয়েছে। তবে টাকা নিতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে আপনার যে কোনো ব্যাংকের এটিএম কার্ড নাস্বারটি আমাদের দিতে হবে।’
ওপ্রান্তের কথা শুনে সাংবাদিক ফয়েজ বলেন- ‘আমার তো কোনো এটিএম কার্ড নেই।’
তখন ফরিদ নামের ওই ব্যক্তি বলেন- ‘আপনার পরিবারের যে কারো কার্ড হলেই চলবে। স্যার, দ্রুত আমাকে কার্ড নাম্বার দিতে হবে। আমরা সিরিয়াল অনুযায়ী সারাদেশে কাজ করছি।’
বিষয়টি ‘প্রতারণার ফাঁদ’ বুঝতে পেরে সাংবাদিক ফয়েজ বিষয়টি দ্রুত সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে তুলে ধরেন। পরে ফরিদ নামের ওই ব্যক্তির মুঠোফোন নাম্বারে (১৩১১-২৮৮৬৩৫) জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আল আজাদ কল দিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রতারক লাইনটি কেটে দেয় এবং পরবর্তীতে ওই নাম্বারই বন্ধ করে দেয়।
জানা যায়, কিছুদিন আগেও এভাবে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের কয়েকজন সদস্যকে একটি মোবাইল ফোন নাম্বার থেকে কল করে প্রতারণার চেষ্টা করে প্রতারক চক্র। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ কামনা করছেন প্রতারক চক্রের ‘টার্গেটে’ পরিণত হওয়া সাংবাদিকরা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব- মিডিয়া) সুদ্বীপ দাস এ বিষয়ে বলেন- যেহেতু একাধিবার সিলেটের সাংবাদিকদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে, তাই সবার পক্ষ থেকে একজন অথবা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করে নিলে ভালো। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রতারক বা এ চক্রকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাবো।
শেয়ার করুন