এক কমিটি দিয়ে আট বছর পার করে গত বছরের ১৭ জুন মেয়াদোত্তীর্ণ দেখিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
তারপর দীর্ঘদিন ধরে নতুন কমিটি গঠনের গুজব রয়েছে। এমনকি কমিটি বিলুপ্তির পর থেকেই শুরু হয়েছে নতুন কমিটি নিয়ে আসতে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। পদ পেতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। নিয়মিত সিলেট থেকে ঢাকামুখী হচ্ছেন এসব নেতা-কর্মী। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য পদপ্রত্যাশীদের অধিকাংশই অছাত্র ও বিতর্কিত বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাবি ক্যাম্পাস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সদস্য আশরাফ কামাল আরিফ, উপদপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, গ্রুপ নেতা মামুন শাহ, ফিরোজ আলম ভুইয়া, মুনকির কাজী, তায়েফ হোসেন, তারেক হালিমী, সুমন সরকার, মেহেদী হাসান স্বাধীন, ফারহান রুবেল, শাহাদাত হোসেন সীমান্ত, মাহবুবুর রহমান, সুমন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, রায়হান মিয়া, ইফতেখার আহমেদ রানাসহ অনেকে বর্তমান কমিটিতে পদপ্রত্যাশী।
তবে এসব পদপ্রত্যাশীর মধ্যে অধিকাংশ নেতা-কর্মীরই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে ছাত্রত্ব নেই, এমনকি নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। প্রত্যেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন আর সাবেকেরা বলছেন, জাতির পিতার হাতে গড়া ছাত্রলীগের নেতৃত্ব যেন বিতর্কিত, অছাত্র, অপরাধীদের হাতে তুলে না দেওয়া হয়। সংগঠনে সর্বশেষ শাবি শাখা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, যাঁরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা করেন না, তাঁদের হাতে যেন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে না দেওয়া হয়। অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে এখনই সচেতন হওয়া উচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রত্ব না থাকার পাশাপাশি হত্যা-মামলার আসামি, মাদক কারবার ও সেবন, সাইবার বুলিং, ইভ টিজিং, টেন্ডারবাজি, ছাত্রদলে সম্পৃক্ততা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার ও জরিমানা, বিভাগের সমিতির পদ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, হলের ডাইনিং, ক্যানটিন ও ক্যাফেটেরিয়ায় খেয়ে টাকা না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এসব পদপ্রত্যাশীর বিরুদ্ধে।
শেয়ার করুন