ম্যাচ জিততে খুব বেশি ঝলক লাগে না। ম্যাচ হারতেও বেশি ভুল করতে হয় না। উত্তাপহীন প্রথমার্ধের পর বুড়ো লিওনেল মেসি ও তরুণ এনজো ফার্নান্দেজ ওই ঝলক দেখিয়েছেন। তাদের ম্যাজিক্যাল দুই শটে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। বাঁচিয়েছে সারা বিশ্বে থাকা আর্জেন্টিনার কোটি ভক্তের আশা। বাঁচিয়েছে নক আউট পর্বের আশা।
অথচ প্রথমার্ধে গোলে কোন শটই নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোও প্রথমার্ধে কোন ভুল করেনি। আলবিসেলেস্তেদের প্রথম ৪৫ মিনিটে দূর থেকেও শট নেওয়ার সুযোগ দেয়নি। প্রথম সুযোগটি তারা দেয় ম্যাচের ৬৪ মিনিটে আকাশি-সাদা জার্সির সেরা খেলোয়াড় লিও মেসিকে। চেনা বাঁ-পায়ের গড়ানো শটে আর্জেন্টিনার সেরা তারকা জালে জড়িয়ে দেন গোল। ৮০ হাজার দর্শকের লুসাইল স্টেডিয়াম ভাসান উল্লাসে। নিজে বাধ ভাঙা উদযাপন করেন।
ম্যাচে মেক্সিকোর প্রথম ভুল ওটিই। ছোট পাসে খেলা আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় বিশেষ করে মেসি দূর থেকে গোলে শট নেবেন মেক্সিকোর ডিফেন্ডাররা হয়তো ধারণাও করেননি। আর্জেন্টিনা ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি পায় ম্যাচের ৮৭ মিনিটে। এটাও এনজোকে শট নেওয়ার জায়গা দিয়ে গোল খেয়েছে মেক্সিকানরা। তবে ওই গোলে তরুণ এনজো দেখিয়েছেন কেন তাকে নতুন দিনের তারকা বলা হয়। পাঁয়ের নিপুন ঝলকে ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলে জায়গা তৈরি করে মাপা শটে গোল করেন তিনি।
অথচ ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনার-বাঁচা মরার লড়াই। সৌদির বিপক্ষে গ্রুপের অন্য দল পোল্যান্ড জয় তুলে নেওয়ায় মেক্সিকো সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে রক্ষণ সামলেছে। প্রথম ম্যাচের একাদশে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে নামা মেসিদের বিপক্ষে একটি পয়েন্টেই চোখ ছিল তাদের। ওই রক্ষণ দেয়াল ভেদ করে প্রথমার্ধে বলের ৬৩ শতাংশ পজিশন রাখলেও গোলে কোন শটই নিতে পারেনি আকাশি-সাদা জার্সির দলটি। বরং বিপদের আভাস দেওয়া একটি ফ্রি কিক নিয়েছিল মেক্সিকো।
ফুটবল ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ সেন্ট্রাল আমেরিকার দলটির রক্ষণ বাধ ভাঙতে ম্যাচের ৫৭ ও ৬৩ মিনিটে দুই পরিবর্তন আনেন কোচ স্কালোনি। গুইদো রদ্রিগেজকে তুলে তরুণ মিডফিল্ডার এনজোকে নামাতেই ম্যাচে রঙ বদল শুরু হয়। লওতারোর পরিবর্তে জুলিয়ান আলভারেজ নামলে জায়গা পেতে শুরু করে আর্জেন্টিনা। ওই সুযোগেই ডি মারিয়ার বল ধরে মেসি এবং মেসির বল ধরে গোল করেছেন এনজো। আর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচ ৩০ নভেম্বর পোল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই ম্যাচেও জয় ধরেই নামতে হবে মেসিদের। এখন তাদের চ্যালেঞ্জ গ্রুপ সেরা হওয়ার।
শেয়ার করুন