চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ হলো পঞ্চম দিনে এসেই। তবে অলৌকিক কিছু হলো না। ভারতের কাছে ১৮৮ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সমান সমান লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত ৩২৪ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ। ফলে ১৮৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ শুরু করলো টাইগাররা। অবশ্য জয়-পরাজয় ছাড়া অন্য কিছু ঘটার সুযোগও ছিল না। চতুর্থ দিনশেষে বাংলাদেশের যেখানে প্রয়োজন ছিল ২৪১ রান, ভারতের প্রয়োজন তখন ৪ উইকেট।
প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতার পরও টেস্টটাকে শেষ দিনে নিয়ে এলেও পঞ্চম দিনে এক ঘণ্টাও মাঠে থাকতে পারলো না সাকিব-মিরাজরা। ১১.২ ওভারেই শেষ ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনশেষে অবিশ্বাস্য কিছুর স্বপ্ন দেখালেও পঞ্চম দিনে মাঠে নেমেই বিদায় মেহেদী মিরাজের। স্কোরবোর্ডে আজ ১১ রান যোগ করতেই ১৩ রান করা মিরাজকে ফেরান সিরাজ।
মিরাজের সাথে ৪৫ রানের জুটি ভাঙার পর তাইজুলকে সাথে নিয়ে আক্রমণাত্বক খেলতে শুরু করেন সাকিব। তাদের ৩৫ বলে ৩৫ রানের জুটি ভাঙে সাকিবের বিদায়ে। সকাল থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকা সাকিবকে ফেরালেন কূলদীপ যাদব। আউট হবার আগে ৬ চার আর ৬ ছক্কায় করেছেন ৮৪ রান। সাকিব ফেরার সাথে সাথেই ফুরিয়ে গেল বাংলাদেশের জয়ের শেষ বিন্দু আশাটাও।
দলের রান তখন ৮ উইকেটে ৩২০। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯৩ রান। হাতে ছিল মাত্র ২ উইকেট। তবে ৪ বলের মাঝেই শেষ ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম ৪ ও ইবাদত হোসেন ফিরেন ০ রানে।
২৪১ রান, খুব বড় লক্ষ্য যদিও নয়, তবে মিড অর্ডারের ব্যর্থতায় তাই ছিল আকাশসম। মূলত উদ্বোধনী জুটিতে বড় রান আসার পরই স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান যোগ করেন ১২৪ রান। চতুর্থ দিনের বড় প্রাপ্তি ছিলেন শুধুই জাকির হাসান, অভিষেকেই শতক তুলে নিয়েছেন এই ব্যাটার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৪০৪ রানের জবাবে ১৫০ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ফলোঅনের বাঁধায় পড়লেও ফলোঅন করায়নি ভারত, ২৫৪ রানের লিড নিয়ে তারাই ব্যাটিংয়ে নেমে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে জোড়া শতকে ২ উইকেটে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে ভারত।
শুভমান গিল টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে ১১০ রানে আউট হলেও ১২০ রান করে অপরাজিত থাকেন চেতেশ্বর পুজারা। দু’জনেই ব্যাট করেছেন প্রায় ৮০ স্ট্রাইকরেটে। মাঝে লোকেশ রাহুল আউট হন ২৩ রানে, আর ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের সম্মুখে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৩ রান।
শেয়ার করুন