বড়লেখা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মীর আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চাকরি হারানোর ভয়ে এতদিন কেউ প্রতিবাদ না করলেও সম্প্রতি কয়েকজন শিক্ষক তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠায় ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ মঙ্গলবার এসিল্যান্ডকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্তপূর্ব্বক প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উক্ত তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এএসএম রাশেদুজ্জামান বিন হাফিজ ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস শহিদ মাহবুব।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৯ সালে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে বড়লেখায় যোগদান করেন। গত বছরের ১৬ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পান।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিধি অনুযায়ী তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। একটি বিশেষ মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় মঙ্গলবার তিনি সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসাইনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। উক্ত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্তপূর্Ÿক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন