কয়লার অভাবে এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন। দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনও যথাসময়ে হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
১৪ জানুয়ারি সকালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই ইউনিট মিলে কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। ডলার সংকটে ঋণপত্র খুলতে না পারায় কয়লা আমদানি অনেকটা অনিশ্চয়তায়।
জুনে চালু হওয়ার কথা দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন। কয়লা আমদানি না হলে এটিও চালু করা সম্ভব হবে না।
তবে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও এই সময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে রক্ষণাবেক্ষণ কাজে। কারণ চুক্তি অনুযায়ী, রামপালের বিদ্যুৎ পিডিবিকে কিনতে হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ থাকলেও পিডিবিকে কেন্দ্রের সক্ষমতা ব্যয় বা ক্যাপাসিটি চার্জ (কেন্দ্র ভাড়া) দিতে হবে।
নিয়মিত ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল রামপাল কেন্দ্র। উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৬০ মেগাওয়াট ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২০০ মেগাওয়াট খুলনা-বাগেরহাটে সরবরাহ করা হচ্ছিল। নিয়মিত উৎপাদনের জন্য কেন্দ্রটিতে প্রায় ৫ হাজার টন কয়লা লাগত। কয়লা আসত ইন্দোনেশিয়া থেকে। দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯ দশমিক ৫৬ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. (বিআইএফপিসিএল)-এর উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার না দেওয়ায় কয়লা আমদানি করা যায়নি। ইন্দোনেশিয়ায় কয়লাবোঝাই একটি জাহাজ প্রস্তুত আছে। ঋণপত্র পেলে জাহাজটি বাংলাদেশের পথে রওনা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত এই সংকট নিরসনের।
শেয়ার করুন