কাজী মোহাম্মদ আলীঃ
যশোরের অভয়নগরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করায় হত দরিদ্র এক পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় ইউপি সদস্য ও তার সহোযোগির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়াডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সালসা বেগম (৩৮) বাদী হয়ে গত কাল অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে দাবি ভুক্তভোগী ওই নারীর।
ভুক্তভোগী সালমা বেগম জানান, তার নামে ভিজিডি কার্ড তৈরি করে সাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে চাউল উত্তোলন করে তুলে নেওয়ায় ঘটনায় বসাবসির মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা উত্তোলন করে তাকে ২৪ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করায় বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ তৈয়েবুর রহমান ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজু সরদারের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করায় হামলার শিকার হয়েছেন তিনি তার ছেলে ওমর ফারুক (১৬), মাহমুদ শেখ (২২), বৃদ্ধা শাশুরী হাসিনা (৭০)।
তিনি জানান, তার স্বামী তাদের রাখিয়া পুনরায় বিবাহ করে অন্যত্র বসবাস করে। তার চার সন্তান নিয়ে সে মানবেতর জীবনযাপন করে। তার নামে একটি ভিজিডি কার্ড তৈরি করে ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কাওসার আলী শেখ ২০২১ – ২২ বৎসরে তার সাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়মিত চাউল উত্তোলন করিয়া নেয়। পরবর্তীতে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসি ল্যান্ড স্যারের মাধ্যমে বসাবসি করিয়া আমার কার্ড উদ্ধার করে মেম্বরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে সেই টাকা আনাকে দিতে আদেশ দেন এসি ল্যান্ড স্যার। পরবর্তীতে আমার কার্ড ফেরত না দিয়ে সাবেক মেম্বর কাউসার আলীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করিয়া আমাকে ২৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমাকে জানানো হয় আমার নামের কার্ড সরকার বাতিল করিয়া দিয়াছে। আমি এসি ল্যান্ড স্যারের কার্ড দেওয়ার আদেশের কথা জানালে বিবাদীরা আমাকে ধমকের সাথে এসি ল্যান্ডের কাছ থেকে কার্ড নিতে বলে। এ ঘটনায় সুবিচার পাইতে আমি গত ৬ মার্চ অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব একটি লিখিত অভিযোগ দিলে গত বুধবার সন্ধায় আমার মেঝ ছেলে ফারুকের উপর হামলা চালানো হয়। এতেও ইউপি সদস্য রাজু সরদার খ্যান্ত হয় না। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার বড় ছেলে মাহমুদ সহ আমার ও আমার বৃদ্ধ শাশুড়ির উপর হামলা চালায় বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য রাজু সরদার ও একই এলাকার গয়েজ উদ্দিন শেখের পুত্র ওসমান ওরফে (ট্যারা ওসমান)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য রাজু সরদার জানান, সালমা বেগমের মেঝ ছেলেকে গত বৃহস্পতিবার ওসমান মারধর করেছে। গতকাল তার বড় ছেলে বিষয়টা শুনতে গেলে ওসমানের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে এসময় ওসমান তার বড় ছেলেকেও মারধর করে। আমি বিষয়টা জানতে পেরে মধ্যস্ত হয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করি। এখন শুনছি আমার নামেই অভিযোগ হয়েছে।
চেয়ারম্যান শেখ তৈয়বুর রহমান বলেন,শুনেছি মারামারি হয়েছে,বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান জানান,এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।