সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নগরীতে চাপা উত্তেজনাও বাড়ছে। এরই মধ্যে সিলেট নগরীতে অস্ত্রের মহড়াও শুরু হয়েছে। শান্ত সিলেট নগরীতে অস্ত্রের ঝনঝনানি সাধারণ মানুষকে শঙ্কিত করে তুলেছে। ভোটারদের আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশন কঠোর না হলে এই অবস্থা আরও বাড়বে। ফলে সংঘাতের পাশাপাশি প্রাণহানিরও আশঙ্কা করছেন তারা।
শুক্রবার (৯ জুন) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাড়ির সামনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব হোসেন খানের আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও হুমকির ঘটনায় নগরবাসী বিস্মিত। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পুলিশ শনিবার সকালে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করেছে ।
আটক তিনজন হলেন আতিকুর রহমান, জুবের আহমদ ও নুরুজ্জামান। তারা তিনজনই নগরীর বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং আফতাব হোসেন খানের অনুসারী।
ভাইরাল হওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, নগরের ১৩/১৩ সুবিধবাজার দিঘীর পাড় কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আব্দুল্লার বাসার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে সশস্ত্র মহড়া দেন ঘুড়ি মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খান। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে থাকা যুবকরা অপর প্রার্থী সাঈদ আব্দুল্লাহর বাসার মূল ফটকের সামনে অস্ত্র প্রদর্শন করেন।
ঘটনার সময় আরেকটি মোটরসাইকেলে কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানকেও দেখা যায়। এ ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ আব্দুল্লাহ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ জানান।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস বলেন, ‘শনিবার সকালে বিমানবন্দর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক তিনজনের দুজন সেদিনের ঐ মহড়ায় অংশ নেয়। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
শেয়ার করুন