আগামী সপ্তাহেই লোডশেডিং মুক্ত হচ্ছে সিলেট!

সিলেট

সিলেটে চলমান লোডশেডিংয়ের ফলে ক্ষুব্ধ জনসাধারণ।কোথাও দিনের দুই তিন ঘন্টা বিদ্যুত থাকলেও অন্যান্য সময় লোডশেডিংয়ের কবলে থাকতে হয়।বিশেষ করে তীব্র গরমের মধ্যে দিনেও রাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

তবে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরেই সিলেটে লোডশেডিং চলছে। সিটি নির্বাচনের সময় প্রায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল সিটি করপোরেশন এলাকায়। তবে বিভাগজুড়ে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি চলমান ছিল। গ্রাম ও শহরে সমানতালে প্রতিদিন ৫-১৫ ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে গরম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে সিলেটজুড়ে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে সিলেট বিভাগে চাহিদা ছিল ৬১০মেগাওয়াট। তার বিপরীতে সরবরাহ হয় ৫০০ মেগওয়াট আর ঘাটতি ছিল ১১০ মেগাওয়াট। অন্যান্য দিনে যেখানে ২০০ মেগাওয়াট ঘটতি থাকতো আজ সেখানে অর্ধেক ঘাটতি ছিল। জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ বাড়িয়ে মঙ্গলবার তা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির সিলেটপ্রতিদিনকে জানান, প্রতিদিন যেখানে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকত আজ সেখানে একশ ঘাটতি রয়েছে সিলেটের মানুষের অবস্থা বিবেচনা করে সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুতের এমন সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করেছেন।

উল্লেখ্য- সোমবার সিলেট বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫৮০ মেগাওয়াট। বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া যায় ৪৪০ মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিল ১৪০ মেগাওয়াট। এর আগে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল। বর্তমানে পিকআওয়ারে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ৩৯ শতাংশ ও অফপিক আওয়ারে ২২ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে সিলেটে।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *