ড. নূরুর রহমানকে নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির দ্রুত অবসানের দাবী : আইইউ এক্স স্টুডেন্ট ফোরামের

সিলেট

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম সিলেটের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাতে ফোরামের সভাপতি, সিলেট ল কলেজের অধ্যক্ষ ও সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট মহসিন আহমদের সভাপতিত্বে, সেক্রেটারী মঈনুল হক সিরাজীর পরিচালনায় নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের হলরুমে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রোববার রাতে নগরীর আখালিয়াস্থ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ভুল ছাপা ও পুরনো ছেড়া-ফাড়া কুরআন পোড়ানোর অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কৃতি ছাত্র, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইসলামী চিন্তাবিদ ড. নুরুর রহমানকে নিয়ে উদ্ভুদ পরিস্থিতির দ্রুত অবসানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ড. নুরুর রহমান একজন দ্বীনদার ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। তিনি কুরআনের খেদমতে সদা নিজেকে নিয়োজিত রেখে কুরআনকে ধারণ করে জীবন পরিচালনা করছেন। তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে একটি এমপিওভুক্ত কলেজে প্রভাষক পদে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার মতো একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ কুরআন পোড়ানোর ন্যাক্কারজনক কাজে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসেনা। মানবতার মুক্তিসনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সাথে মুসলমানদের আবেগ অনুভুতি জড়িয়ে আছে। তাই রোববার রাতে একটি ছোট ভুল বুঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে কুরআন পোড়ানোর সংবাদে ধর্মপ্রাণ মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। কুরআনের ব্যাপারে ধর্মপ্রাণ মানুষের আবেগ অনুভুতির প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এই ভুল বুঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি- ড. নুরুর রহমান কুরআনের যেসব কপি পুড়িয়েছেন সেগুলা প্রিন্ট মিস্টেক, অনেক পুরনো ছেড়া-ফাড়া ও পড়ার অনুপযোগি। আর এই ধরনের কুরআনের কপি আগুণ দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার শরয়ী বিধান রয়েছে। তবে পুড়ানোর পদ্ধতিগত সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে রোববার রাতে একটি অনাকাঙ্খিত পরিস্থিরি সৃষ্টি হয়েছে। বাস্তবে ড. নুরুর রহমান কোন ধরনের শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসেনা।

সভায় বক্তারা আরো বলেন, আমরা কুরআন পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী ড. নুরুর রহমানকে নিয়ে উদ্ভুদ পরিস্থিতির দ্রুত অবসানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। এই ভুল বুঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য তাকে কোন ধরনের মামলায় না জড়ানোর জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবী জানাচ্ছি।

সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আযহার, সৈয়দপুর সৈয়দিয়া সামছিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ, হলিয়ারপাড়া (জা. কা.) সুন্নিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মঈনুল ইসলাম পারভেজ, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ফজলুর রহমান চৌধুরী, রাগিব-রাবেয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো: সাঈদুর রহমান, দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সিইও ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইওটি প্রজেক্টের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কে.এম আলমগীর হোসাইন, সরকারি মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ যুননূরাইন চৌধুরী, জৈন্তিয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আলী শাহীন, দারুন্নাজাত মডেল মাদ্রাসা সিলেটের পরিচালক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, সিলেট সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মোঃ ওলীউল্লাহ ও প্রভাষক মো. করম আলী, লিডিং ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি: এর পিএলসি’র সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন খান প্রমূখ। বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *