ফরিদুল ইসলাম,
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহটের শরণখোলায় পাপিয়া বেগম (৩৫) ও সাওদা জেমী (৫) কে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত কিনা এ নিয়ে এলাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আল-আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেছেন। বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল ইসলাম ও এএসপি (সার্কেল), শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ ইনভেষ্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
অন্যদিকে, নিহতের ভাই আল-আমিন জনায়, তার ভগ্নিপতি আবু জাফর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। সে ঘটনা তার বোন পাপিয়া জানতে পারায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দন্ধের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে প্রায়ই মোবাইল ফোনে ঝগড়াঝাটি হয়। এমনকি পাপিয়াকে সাংসারিক প্রয়োজনীয় খরচ থেকে বঞ্চিত রাখত। তাই তাকে চিরদিনের জন্য পথ থেকে সরিতে দিতে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এতে তার ভগ্নিপতি আবু জাফর ও তার অন্য ভাইয়েরাও জড়িত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ১১ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে মা ও মেয়েকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত পাপিয়ার স্বামী জাফর হাওলাদার ঢাকায় ও ছেলে জিহাদ (১৫) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে। মেয়েকে নিয়ে পাপিয়া ওই বাড়িতে থাকতেন। সন্ধ্যায় ঘরের সামনের খাটের উপর বসে মেয়েকে ভাত খাওয়াচ্ছিলেন মা। এসময় কে বা কারা ঘরে প্রবেশ করে পাপিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাওহিদুল ইসলাম মৃত ঘোষনা করেন। অন্যদিকে, ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দূরে মাষ্টার আবু তালেব টুকুর বাড়ির উঠোনে পেটে ও গলায় কোপ অবস্থায় শিশু সাওদা জেমীর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শরণখোলা, বাগেরহাট।
শেয়ার করুন