সিলেট শহরের অন্যতম নাম মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও ব্যাংকার ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী। সিলেট শহরের অন্যতম সেরা এই বিদ্যাপীঠ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী। একজন শিক্ষানুরাগী, পরোপকারী, উদারমনা, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত মহান হৃদয়ের মানুষ। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকে। এরপর বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরি করেছেন দীর্ঘ একটা সময়। এরপর একসময় নিজে আরও কয়েকজনের সম্মিলিত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেছেন বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁর নামটি উচ্চারিত হয়। ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মধ্যে নিজের কর্মপরিধিকে সীমাবদ্ধ রাখেননি তিনি। এরপর তিনি দেশে শিক্ষা বিস্তারের মহান ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। বাংলাদেশ জুড়েউচ্চ শিক্ষা বিস্তারে যার সুনাম ছড়িয়ে আছে। সিলেট শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শিক্ষা প্রসারের সাথে সাথে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী, দক্ষ, যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে অগণিত তরুণকে নতুন পথের সন্ধান দিচ্ছে।
একজন সফল উদ্যোক্তা, শিক্ষানুরাগী, উদারমনা, দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব তৌফিক রহমান চৌধুরী ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যাজননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও আস্থাশীল এই বিশাল ব্যক্তিত্বের মুখোমুখি হয়েছিলাম আমরা।
সম্প্রতি তার মুখোমুখি হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর ব্যক্তিজীবন, কর্মজীবন, ব্যবসা-বাণিজ্য, নিজস্ব চিন্তাভাবনা, দেশ ও জাতির বিভিন্ন দিক তাঁর আদর্শ জীবনের মূলমন্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছি। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতার চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো। একজন সফল ব্যবসা উদ্যোক্তা, শিক্ষানুরাগী, পরোপকারী, জনসেবায় আত্মাৎসর্গকারী মানুষ আপনি। দেশজুড়ে আপনার আলাদা পরিচিতি। একজন নিরহংকারী, বিনয়ী, উদার মনের মানুষ হিসেবে সবার শ্রদ্ধার পাত্র। কর্মজীবনে আপনি প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনন্য সাফল্য এবং কৃ তিত্বের প্রমাণ দিয়েছেন।
সবকিছু মিলিয়ে আপনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তী, দেশের অর্থনীতিতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, শিক্ষাপ্রসারে আপনার অবদান অনন্য। আমরা আপনার মুখোমুখি হয়েছি কিছুটা সময়ের জন্য। আপনাকে আরো গভীরভাবে জানার জন্য। আপনার কর্মজীবন, সমাজ, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য- মোট কথা দেশ নিয়ে একান্ত ভাবনাগুলো জানার জন্য- ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: আসলে আমার সম্পর্কে যেভাবে উপমা দিয়ে বর্ণনা দিয়েছেন, আমি কিন্তু বেশ বিব্রতবোধ করছি। আসলে আমি তেমন কেউ নই। আমি নিজেকে খুব সাধারণ একজন মানুষ ভাবি সবসময়। আমি সব সময়ে চেষ্টা করেছি একজন সত্যিকারের মানুষ হতে। এখনও সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি সব সময়েই নিজেকে বিশেষ কেউ মনে করিনা। সাধারণ মানুষের কাতারে নিজেকে একজন ভাবতে চাই।
📍আপনার শৈশব, যৌবন এবং শিক্ষাজীবন সম্পর্কে বলুন?
ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: আমার শৈশব কেটেছে গ্রামে। তবে স্কুল জীবনের শেষ দিকে শহরে চলে আসি । আমি এসএসসি পাস করেছি শহরের স্কুল থেকে। কলেজ জীবনও শহরে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি অর্থনীতি বিভাগে। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো। আমি যদি এখানে পড়তে না পারিতাহলে আর পড়াশোনাই করবোনা তেমন পণ করেছিলাম । আমি অবশ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও গিয়েছিলাম পড়তে। কিন্তু আমি আমার লালিত স্বপ্ন পুরণের জন্য শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। এখানে পড়তে গিয়ে অনেক বন্ধুবান্ধব পেয়েছি। যারা আমাকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করেছেন।
আর অর্থনীতি বিভাগে আমার সহপাঠীদের মধ্যে অধিকাংশই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপন যোগ্যতায় উজ্জ্বলভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ১৪-১৫ জন সহপাঠী সরকারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্নসময়ে।
আপনার কর্মজীবনের সূচনা ও পরবর্তী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাই।
ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: শিক্ষাজীবন শেষে আমি কর্মজীবন শুরু করেছিলাম সোনালী ব্যাংকে। এরপর আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকে চাকরি করেছি। মাঝখানে বিদেশে চলে যাই। দেশে এসে একটা নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় জড়িত হওয়ার ইচ্ছা জাগে ।আমার চাকুরীজীবনের একজন প্রতিতযশা ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আর এ হাওলাদার সাহেবের পিতৃস্নেহ ও অগাধ ভালোবাসার ফলোশ্রুতিতে যোগাযোগ হয় সর্ব জনাব মোঃ আনোয়ারুল হক,এস এম আব্দুল মান্নান, নাসির উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখের সাথে।তারা আওয়ামীলীগ নেতা টাঙ্গাইল এর জনাব শামসুর রহমান খাঁন শাহজাহান সাহেবের মাধ্যমে জনাব মোঃ আব্দুল জলিল সাহেবকে ব্যাংক প্রতিষ্টায় সম্পৃক্ত করেছেন। এভাবেই জনাব জলিল সাহেবের সাথে আমার পরিচয়, পরবর্তিতে এক পরিবারের সদস্য হয়ে উঠা। বাংলাদেশের অনন্য এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ব্যাংক উদ্যোক্তা আবদুল জলিলের উৎসাহ, পরামর্শে আমরা নতুন একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার কাজে এগিয়ে যাই। এভাবেই আমার ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হওয়া। এক্ষেত্রে আবদুল জলিল সাহেবের সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা, বুদ্ধি পরামর্শ আমাদের জন্য পরম পাথেয় ছিল।
আবদুল জলিল সাহেবের সান্নিধ্য এবং তার উৎসাহ, পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতা সম্পর্কে কিছু বলবেন।
উত্তর: মহান এই ব্যক্তিটি ছিলেন উদারমনা, প্রগতিশীল চিন্তা-ভাবনার মানুষ। রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর অসাধারণ অবদান জাতি, শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এখনও। তিনি আমার জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদানরেখেছেন। তাঁকে আমি পেয়েছিলাম একজন অভিভাবক হিসেবে। পৃথিবীতে আমার বাবা-মায়ের পর তার মাধ্যমে পৃথিবীটাকে ভালোভাবে জেনেছি। পৃথিবীটা নতুনভাবে খুঁজে পেয়েছি তার মাধ্যমেই। আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি তার মাধ্যমে। তার অবদানের কথা সবসময় মনে রাখবো আমি।
মাঝখানে আপনি বেশ কিছুদিন বিদেশে কাটিয়েছেন- আমি ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিইনি। তবে ১৯৭১ এ আমি এবং আমাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি নানাভাবে। আমাদের সিলেট অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী মেজর জেনারেল সি আর দত্ত এবং কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আমি এবং আমার পরিবার মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য- সহযোগিতার মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সব সময়েই ধারণ করে দেশমাতৃকার সার্বিক কল্যানে কাজ করে গেছি ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: জ্বি, আমি বিদেশে বেশ কিছুদিন কাটিয়েছি। এ প্রসঙ্গে বলি, আমার বাবা দীর্ঘদিন- ১৯৬০ সাল থেকে বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। আমাদের পরিবারও সেই সূত্রে দীর্ঘদিন থেকে বিদেশে ।
এখনও আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য বিদেশে থাকে। তাদের কাজকর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য সবই সেখানে। বিলেতেই আমার বাবা-মা, ভাই-বোন সবার জীবন কেটেছে। আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেই আমার দেশে আসা। এবং এখানেই কর্মজীবনের ব্যপ্তি। দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য নিজের সক্ষমতায় কিছু করার জন্য আমি সচেষ্ট ছিলাম এবং এখনও আছি।
বাংলাদেশে এসে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে কর্মজীবনের সম্পৃক্ত হওয়া থেকে শুরু করে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্পর্কে বলুন। ড.তৌফিক রহমান চৌধুরী: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে করতে এ দেশের রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম ইত্যাদি দেখেছি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। বাঙালি জাতির সার্বিক কল্যাণে স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অসামান্য ত্যাগ এবং সর্বশেষ তাঁর আত্মত্যাগ দেখেছি।তাঁকে দেখে উপলব্ধি করেছি, একজন মানুষ কতোটা নিঃস্বার্থভাবে দেশের মানুষকে ভালোবেসে নিজের জীবনটা উৎসর্গ করতে পারেন। জাতির পিতার আদর্শকে লালন করে আমি নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে দেশের মানুষেরজন্য নিবেদন করতে চেয়েছি।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালে আপনার ভূমিকা সম্পর্কে কিছু বলুন। ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: আমি ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিইনি। তবে ১৯৭১ এ আমি এবং আমাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি নানাভাবে। আমাদের সিলেট অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী মেজর জেনারেল সি আর দত্ত এবং কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আমি এবংআমার পরিবার মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সব সময়েই ধারণ করে দেশমাতৃকার সার্বিক কল্যানে কাজ করে গেছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বৈপ্লবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি শোষণমুক্ত দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলার নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আজ দীর্ঘ ৫২-তে বছরের পথপরিক্রমায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন গোটা বিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দীপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। এ সম্পর্কে আপনার নিজস্ব উপলব্ধি জানতে চাই। ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: নিঃসন্দেহে আমাদের বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অনেকদূর এগিয়ে গেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের এই অনবদ্য এগিয়ে চলা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেবাংলাদেশ। এ সবই বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজ্ঞ নেতৃত্ব, দক্ষভাবে দেশ পরিচালনার কারণে সম্ভব হয়েছে। তাঁর অসামান্য কৃতিত্ব বিশ্ব নেতৃবৃন্দকেও উদ্দীপ্ত এবং কৌতূহলী করেছে। তাঁর অবিস্মণীয় অবদান গোটা বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনছে। এই গৌরব সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।
এদেশের বেসরকারী খাতে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হিসেবে যে নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন, নতুন পথের সন্ধান খুঁজে পেয়েছিলেন আপনারা। সেই পথপরিক্রমায় বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা অনেকটা এগিয়ে গেছে। তবে আমাদের ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ে নানারকম কথাও উচ্চারিত হচ্ছে এখন। এসম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাই।ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। বর্তমানে আমাদের ব্যাংকগুলো বেশ ভালোভাবেই চলছে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কোথাও কোথাও অনৈতিক হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থা নিয়ে কথা উঠছে। আমাদের কিছু কিছু ব্যাংক পরিবার কেন্দ্রিক, গোষ্ঠীকেন্দ্রিক এবং প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। যেখানে নানা অনিয়মের অভিযোগ আলোচিত হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারেনা। আমি নিজে এসবের মধ্যে সম্পৃক্ত ছিলাম না কখনও। এখনও নেই। এ বিষয়ে আমি নিজে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চাইনা। দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে ব্যাংকগুলো আরো অবদান রাখবে বলে মনে করি আমি।
বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় কাঠামোগত, গুণগত অনেক পরিবর্তন এনেছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান। তার হাত ধরেই আমাদের ব্যাংক ব্যবস্থা অনেকটাই গণমুখী হয়ে উঠেছিল। যদিও তার সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে বড় অংকের অর্থ কতিপয় বিদেশি হ্যাকারের কারসাজিতে লোপাটের ঘটনা ঘটেছিল। তাই বলে একজন মেধাবী গুণী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর হিসেবে ড. আতিউর রহমানের অবদানকে খাটো করে দেখা যাবেনা। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে একের পর এক নানা কেলেঙ্কারি, অনিয়ম, দুর্নীতির ঘটনায় সব সময় আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।
সকল সংকট অনিয়ম, অব্যবস্থা, দুর্নীতি দূর করে সুষ্ঠু সুন্দর ব্যাংক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে আপনার অভিমত জানাবেন। একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে আপনি বিষয়টি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন। ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: দেখুন, আমি অর্থনীতির ছাত্র হলেও অর্থনীতিবিদ নই। এ বিষয়ে তেমন বিজ্ঞ ব্যক্তিও নই। তবু একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার উপলব্ধি হলো, আমাদের আর্থিক খাতে নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে উঠতে হলে এ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
সবার মধ্যে একটা ধারণা প্রচলিত হয়ে গেছে, সবাই টাকার পেছনে ছুটছেন। এটা ত্যাগ করতে হবে। অনিয়ম, দুর্নীতি ত্যাগ করে সঠিক পথ অনুসরণের মাধ্যমে এ সংকট উত্তরণ সম্ভব বলে মনে করি আমি। সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনাও দিয়েছেন। যেগুলো অনুসরণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সঠিকভাবে এগিয়ে যাবে বলে আমি দৃড়ভাবে বিশ্বাস করি। একটা কথা আমাদের সবাইকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে,শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। তাঁর কোনো বিকল্প নেই।একমাত্র তাঁর যোগ্য নেতৃত্বই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে। যে যাই বলুক না কেন, বাস্তবতা হলো এটাই।
এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা কথা উচ্চারিত হচ্ছে। বিরোধী দল বিভিন্ন দাবী তুলছে। তেমন প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক নানা পক্ষ তৎপরতা চালাচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যত সম্পর্কে বলুন । ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বলবো, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই আগামিতে সরকার গঠন করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প এদেশে নেই। তিনি ওয়ান ইলাভেনের প্রতিকূলসময়েও দেশ ছেড়ে কোথাও যাননি। এখনও তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি দক্ষ হাতে সবকিছু সামলে নেবেন। আমেরিকা – ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে যতই আস্ফালন করুক না কেন, তারা এদেশে কিছুই করতে পারবেনা। অনেকেবাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা করতে চান। আমি বলবো, বাংলাদেশ পাকিস্তান নয়। বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের পথ চলার ঠিকানা খুঁজে নেবেই আগের মতো।
জনগণই হলো দেশের মালিক। কিন্তু বাস্তবে কী তা দেখা যায়? আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ও কাঠামোতে সাধারণ জনগণের অবস্থান নিয়ে আপনার নিজস্ব ভাবনা সম্পর্কে বলুন। ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: সাধারণভাবে বলা হয়, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন কোথায়? যারা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা ক্ষমতার জোরে হতাকর্তাবনে যান। যেখানে তাদের সাধারণ মানুষের সেবা দিতে নিয়োজিত থাকার কথা, সেখানে তারা প্রভুর মতো আচরণ করেন। ভিআইপি মর্যাদা রক্ষা করে চলতে চান সবসময়ে। তারা জনগণের সেবক না হয়ে শাসক হয়ে তাদের ঘাড়ে চেপে বসেন। এটা তো আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে কারো কাম্য হতে পারেনা। এ ধরনের মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। উপনিবেশিক চিন্তাধারা ত্যাগ করে জনগণের প্রকৃত সেবক হয়ে ওঠা উচিত তাদের।
আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিতরা নিজেদের জনগণের সেবক হিসেবে ভাবতে পারেন না। কেন? ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: এটা হলো তাদের মানসিকতার ব্যাপার। রাষ্ট্রের পরিচালনায় নিয়োজিতরা ক্ষমতা পেয়ে বদলে যান। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে চান। অথচ এক্ষেত্রে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখুন। তিনি কত সাধারণ। তার জীবনযাপন কতোটা আড়ম্বরহীন। তিনি তাঁর বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন শাকসবজি ফলের বাগান করেছেন মাছের চাষ করছেন। এতো বাস্তবতার পরও তিনি এসবের চমৎকার দেখভাল করেন। আমরা টেলিভিশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত নিজস্ব ভুবনের এ দিকটি প্রত্যক্ষ করেছি। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে আমরা সবাই দেশটা আরও সমৃদ্ধশালী ও সুন্দর করেসাজিয়ে তুলতে পারি। যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখতে পারি। এটাই হওয়া দরকার।
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স, ভ্যাট আদায় সাধারণ মানুষের জন্য বোঝা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটা সরকারের রাজস্ব আদায়ের উৎসও বটে। এ বিষয়ে কিছু বলবেন। ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী : হ্যাঁ ভ্যাট, ট্যাক্স অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের জন্য এক ধরনের বোঝা মনে হতে পারে। তবে ভ্যাট ট্যাক্স যদি না পায়, সরকার তাহলে দেশ চালাবে কীভাবে? শুধুমাত্র রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স নিয়ে তো সরকার দেশের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করতে পারবেনা । এটাও বিবেচনা করতে হবে আমাদের। সরকারের যাবতীয় কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে রাজস্ব আদায়ে শৃঙ্খলা,সুশাসন থাকা দরকার।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সিলেট একসময় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দেশের অনেক উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সিলেটের। সিলেটের বেশ কয়েকজন অর্থমন্ত্রী হিসেবে দক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তেমন প্রেক্ষাপটে বর্তমানে সিলেটের রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করুন। ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: আমি গর্বভরে বলতে চাই, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিলেট একসময় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখানে এক সময় দেশের অনেক বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কিন্তু দিনে দিনে সিলেট সেই ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে বলে মনে হয় আমার কাছে। এখানকার রাজনীতিবিদদের আরও দায়িত্বশীল এবং জনবান্ধব হয়ে উঠতে হবে বলে মনে করি।
আপনি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেখানে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা লাভ করছেন। বাংলাদেশে বেসরকারী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ও সম্ভাবনা সম্পর্কে বলুন। ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: আমি নিজে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করলেও ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষপাতি ছিলাম না। কিন্তু বর্তমানে সময়ের বাস্তবতায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
শুধুমাত্র সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের শিক্ষার্থী সংখ্যা বিবেচনায় যথেষ্ট বলে বিবেচিত হচ্ছেনা। আমরা সিলেটে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম ব্যবসায়িক লাভের বিবেচনা করে নয়। আমাদের এখানে সমাজের অস্বাচ্ছল, দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করার সুযোগপাচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ অর্ধেক বেতনে আবার কেউ বিনা বেতনেও পড়ছে এখানে। তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে নিজের পরিবারের স্বচ্ছলতা, সমৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখছে যেমনভাবে, একইভাবে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে। আমার যদি তেমন প্রচুর অর্থ বিত্ত থাকতো, যদি তেমন সামর্থ্যবান কিতাম তাহলে সব ছাত্র-ছাত্রীকে বিনা খরচে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিতাম।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচেষ্টা সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা। আমি আমার সন্তান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টির অন্যান্য সদস্যদের বলেছি, আমার মৃত্যুর পরও যেন মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়েরএই নীতি অটুট থাকে। আমাদের এই ঐতিহ্য রক্ষা করে যেতে হবে। আল্লাহ আমাকে সামর্থ্য দিয়েছেন। তার উপযুক্ত ব্যবহার করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাওয়াটা আমার লক্ষ্য।
বাংলাদেশের বৈদেশিক রেমিটেন্স আয়ের ক্ষেত্রে সিলেটবাসীদের অবদানের কথা সব সময়েআলোচিত হয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সিলেট অঞ্চলের মানুষরা গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।তাঁরা দেশে বিপুল পরিমান রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। যা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বড় ভূমিকা রাখছে। এ বিষয়েআপনার অভিমত জানাবেন।
ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: সব সময় বৈদেশিক রেমিটেন্স উপার্জনে সিলেটবাসীদের অবদান বিশেষভাবেউল্লেখযোগ্য। অতীত সময় থেকেই ইংল্যান্ড আমেরিকা এবং কানাডায় সিলেটের মানুষেরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেনিয়োজিত হয়ে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। এখন এ অবস্থার আরও পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় এখানথেকে লেখাপড়া শেষ না করেই বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে ইংল্যান্ড, আমেরিকা পাড়ি দিত। সেখানে গিয়ে তারা বিভিন্নকাজে লেগে পড়তো। অল্প কিছু ছেলেমেয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতো। কিন্তু এখন বিদেশে যাবার আগে এখানথেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে তারপর যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশে গিয়ে ভালো চাকরিতে নিয়োজিত হচ্ছে।
আমাদেরমেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্ষেত্রে বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে বলতে পারি। এখান থেকে কম্পিউটারসায়েন্সসহ নানা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বিদেশে গিয়ে এখানকার ছেলেমেয়েরা ভালো বেতনে চাকরি পাবারযোগ্য হয়ে উঠছে। ফলে আমাদের রেমিটেন্সের পরিমাণও বেড়ে গেছে। বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছেতারাবিভিন্নভাবে।
দেশে ফিরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা হয়রানি, বঞ্চনা, লাঞ্চনার শিকার হন। প্রবাসীবাংলাদেশিদের জন্য দেশের প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা এবং নানা বঞ্চনার কথা বেশ আলোচিত হয়। এ সম্পর্কেআপনার অভিমত জানাবেন। এ অবস্থা নিরসনে কী করা উচিত বলে মনে করেন।ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী: এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা প্রবাসে ঘাম ঝরিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে, অনেক পরিশ্রমকরে উপার্জন করেন। সেই উপার্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ঘটছে। অথচ সেইপ্রবাসীরা দেশের ফেরার পর বিমান বন্দরে নামার পর নানাভাবে লাঞ্চনা অপমান, নিগ্রহের শিকার হন। তাদেরবিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার করা হয়। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে? তারা দেশে রেমিটেন্সপাঠাতে গেলেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমি মনে করি, রেমিটেন্সযোদ্ধা প্রবাসীদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদাদেওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে অবহেলা, লাঞ্ছনা, হয়রানি লাঘবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে মনোযোগী ও যত্নবান হওয়াদরকার। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেইসব রেমিটেন্স যোদ্ধা দরিদ্র শ্রমিকের সন্তানও লেখাপড়ার সুযোগপাচ্ছে।আমাদের সবাইকে আজ গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে হবে, এ দেশ যদি পাকিস্তান উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তনা হতো, বঙ্গবন্ধু যদি দেশটাকে স্বাধীন না করতেন তাহলে আজ আমাদের কোথায় থাকতে হতো একবারভাবুন। আমাদের পিয়ন, কেরানীর চাকরী করতে হতো। সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হত।
|