৯০ দিন পর খুলছে সুন্দরবনের দ্বার

জাতীয়

টানা ৯০ দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল শুক্রবার থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব ধরনের জেলে ও বননির্ভর জীবিকা নির্বাহকারীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন।

রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্য প্রাণী এবং ২৯১ প্রজাতির মাছের প্রজনন নিশ্চিত করতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩ মাসের জন্য সুন্দরবনে পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবির প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল বন বিভাগ।

জানা গেছে, এই নিষেধাজ্ঞার সময় সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা অবাধে বংশবৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটকদের কোলাহল থেকে মুক্ত হয়ে বনের ভেতর মুক্তভাবে চলাচল করতে সক্ষম হয়েছে।

বন বিভাগ জানিয়েছে, ম্যানগ্রোভ বন বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদসহ জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। সব ধরনের বনজীবিকা উপার্জনকারী যেমন জেলে, ট্যুর অপারেটরসহ বাওয়ালীরা নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনে বন বিভাগের পাস পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য ইতোমধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করা হলেও পর্যটক ও অন্যান্যদের জন্য পানির বোতল ও চিপসের প্যাকেটের মতো একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাগেরহাটের শরণখোলার জেলে জাবের ইসলামসহ বেশ কয়েকজন জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় তারা খুব কষ্টে ছিলেন। সুন্দরবনে মাছ ধরতে পারছিলেন না। এখন তারা সুন্দরবনের খাল-বিল ও নদীতে মাছ ধরতে পারবেন। এতে কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রতি বছর বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুমে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব ধরনের বনে জীবিকা নির্বাহকারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। মৎস্য সম্পদ আহরণও নিষিদ্ধ করা হয়। কোলাহল না থাকায় সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজাতি অবাধে বংশবৃদ্ধির পাশাপাশি অবাধ বিচরণ করতে পারে।

‘নিষেধাজ্ঞার সময় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের একটিন বাস্তব চিত্র। ফলে বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদসহ ম্যানগ্রোভ বনের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হয়েছে। শুক্রবার থেকে পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবিকা নির্বাহকারীরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে চাইলে একবার ব্যবহারযোগ্য (ওয়ানটাইম) প্লাস্টিক যেমন পানির বোতল ও চিপসের প্যাকেট সঙ্গে নিতে পারবেন না। বন বিভাগ থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি নেওয়ার সময় পর্যটক, ট্যুর অপারেটরসহ অন্যান্যদের এ বিষয়ে জানানো হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, বিষ ছিটিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধসহ যত্রতত্র ময়লা ফেলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *