টাঙ্গাইলে তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব জায়গার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় আমন ধান ও শাকসবজি পানির নিচে চলে গেছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গেল কয়েক দিনে ভূঞাপুর উপজেলার পাটিতাপাড়া এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রক্ষা পায়নি কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ। গৃহহীন লোকজন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে বিদ্যালয়, মসজিদসহ বহু স্থাপনা।
বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন গিয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা ও নিকরাইল ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও দু-একদিন পানি বাড়তে পারে। তবে বড় ধরনের কোনো বন্যার আশঙ্কা নেই।
শেয়ার করুন