কুলাউড়ায় মাঝরাতে স্টেশনের বাইরে গেলেই বিপদ!

মৌলভীবাজার

 

রাজধানী ঢাকা থেকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন আসে মাঝরাতে। ট্রেনের এমন সময়সূচি পরিবর্তনের দাবি যাত্রীদের। মাঝরাতে নিশ্চিত বিপদের মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। হয় দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া গুণতে হয় নতুবা সর্বস্ব হারানোর ভয় থাকে যাত্রীদের।

কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের বাসিন্দা সেলিম আহমদ জানান, ঢাকা থেকে ফিরে বাড়িতে যাওয়ার কোনো গাড়ি পাওয়া যায় না।

শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরজান আলী জানান, ঢাকায় কাজ সেরে শমসেরনগর স্টেশনে ফিরে সকাল হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে হয়। পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে বাড়ি ফেরার ঝুঁকি বেশি। ফলে রেলস্টেশনে ভোর হওয়া পর্যন্ত সময় কাটাতে হয়। স্টেশন এলাকায় মাদক চোরাকারবারি, মাদক সেবক আর ছিনতাইকারীদের উৎপাতে আতঙ্কে সময় কাটে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায় রাত সাড়ে ৮টায়। ট্রেনটি শায়েস্তাগঞ্জ এসে পৌঁছায় রাত পৌনে ১টায়, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে পৌঁছায় রাত দেড়টায়, শমসেরনগর স্টেশনে পৌঁছায় সোয়া ২টায়, কুলাউড়া স্টেশনে রাত আড়াইটায় এবং সিলেট স্টেশনে পৌঁছায় রাত সাড়ে ৪টায়।

এসব স্টেশনের যাত্রীদের স্টেশনে নেমে পড়তে হয় বিপাকে। ট্রেনটি পূর্বের সময়সূচিতে ফিরে গেলে যাত্রীরা বিশেষ করে সিলেট কুলাউড়াসহ মাইজগাঁও এবং শমসেরনগর এসব স্টেশনের যাত্রীরা ফজরের নামাজের পর অর্থাৎ ভোরের আলোয় আলোকিত হওয়ার পর তাদের স্টেশনে নামবে। তাতে ভাড়ার ক্ষেত্রে ২-৩ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে না। আবার ছিনতাইকারী কিংবা ডাকাতের ভয়ও থাকবে না।

কুলাউড়া স্টেশনের কর্তব্যরত মাস্টার মুহিবুর রহমান জানান, যারা ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণ করেন তাদের বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। ট্রেনের এই সিডিউলের কারণে যাত্রীও তুলনামূলক কম হয়। পুরাতন টাইমটাই ভালো ছিল।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *