সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার, কুলাউড়া উপজেলা’র ৩নং ভাটেরা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন জামেয়া ইসলামীয়া নুরে হেরা ভাটেরা কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম ও তুলাপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হযরত মাওলানা শেখ ফয়জুল ইসলাম সিদ্দিকী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সারা বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ ইমাম প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধিনে পরিচালিত শ্রেষ্ট ইমাম নির্বাচন ও বাছাই পরিক্ষা জেলা এবং সিলেট বিভাগ উত্তির্ণ হওয়ার পর বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নির্বাচিত ১৮ জন ইমামের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় শ্রেষ্ট ইমাম প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বাংদেশের তিন জনের মধ্যে ২য় স্থান অধিকার করেন।
উল্লেখ মাওলানা ফয়জুল ইসলাম সিদ্দিকী
০১ জানুয়ারী ১৯৭৫ ইংরেজি সনে ততকালীন বরমচাল ইউনিয়নের রাউৎগাওঁ চক খামাউড়া গ্রামে এক মুসলিম সংক্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তার পিতা হেকিম , পল্লী চিকিৎসক, মাওলানা মরহুম শেখ মুছলিম মিয়া সিদ্দিকী ও মাতা মরহুমা হাওয়ারুন নেছা, পাচঁ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্ব কনিষ্ঠ, মক্তব ও প্রাথমিক প্রাইমারী শিক্ষা ততকালীন শশারকান্দী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার পিতা শেখ মুছলিম মিয়া সিদ্দিকী’র কাছ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী পযন্ত পাঠদান করে, তুলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫র্ম শ্রেণী পযন্ত সমাপ্তি করে মক্তব চাহারম হতে কাফিয়া পর্যন্ত জামেয়া মুজাহিরুস সুন্না, দনারাম -শরহেজামী হতে মিশকাত পর্যন্ত জামেয়া নুরানিয়া ইসলামিয়া ভার্থখলা সিলেট, এবং তাকমিল ফিল হাদিস গহরপুর জামেয়া হুসাইনিয়া সিলেটের বিশিষ্ট বুজুর্গ শায়খুল হাদীস আল্লামা নুর উদ্দিন আহমদ গহরপুরী (রহঃ) এর নিকট হতে সনদ লাভ করেন।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ইসলামীক ফাউন্ডেশনের অধিনে ২০০১ সালে সিলেটের রায় নগর দর্জীপাড়া ইমাম প্রশিক্ষন একাডেমিতে ইমাম প্রশিক্ষণের সাথে রিফ্রেসার্স কোর্স, মানভ সম্পদ উন্নয়ন, এইডস প্রতিরোধ প্রাথমীক চিকিৎসা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ নেন, তিনি একজন প্রচারবিমুখ মেধাবী আলেম, দ্বীনের একজন নিবেদিত খাদেম।
উনার এ অর্জন ভাটেরা, কুলাউড়া,মৌলভীবাজার তথা সিলেট বিভাগের মানুষকে আনন্দিত হয়েছেন।
এই জনপদের জন্য তিনি এক বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন যা ইতোপূর্বে আর এই এলাকায় আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত ৩ ইমামের মধ্যে তিনি ২য় হয়েছেন যার স্বীকৃতির স্মারক ৪ বছর পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিন- মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র পূর্বাচল রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ থেকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি, ধর্মসচিব আব্দুল হামিদ জম্মাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালক, আনিসুজ্জামান সিকদার, সহ পরিচালক মাওঃ জাকির হোসেন এর কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।