নেপালের ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ১৩৭, ধ্বংসস্তূপে জীবিতদের খোঁজ

জাতীয়

শুক্রবার রাতে নেপালের জাজারকোটের পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ১২৮ জন নিহতের খবর পাওয়া যায়। আহত আরও অনেকেই। জীবিতদের উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকারী কর্মীরা।

৩ নভেম্বর রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ঘটা ওই ভূমিকম্পে প্রতিবেশী দেশ ভারতের নয়াদিল্লি পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

নেপালের ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ছিল ৬.৪ মাত্রার। এদিকে, জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেসের হিসাবে, ভূমিকম্পটি ছিল ৫.৭ মাত্রার। আবার ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের হিসাবে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৬।

২০১৫ সালের মারাত্মক ভূমিকম্পের পর এবার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের কবলে পড়লো নেপাল।

২০১৫ সালের ওই ভূমিকম্পে নেপালের প্রায় ৯ হাজার মানুষ নিহত হয়। সেসময় পুরো শহর, প্রাচীন মন্দির এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তীব্র ওই ভূমিকম্পে দশ লাখেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়। সেসময় দেশটির অর্থনীতিতে ৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়।

দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (৩০০ মাইল) পশ্চিমে ভূমিকম্পের কেন্দ্রের কাছাকাছি পাহাড়ি এলাকার সাথে এখনও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি বলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্মকর্তারা।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের পুরো এলাকায় প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার লোকের বাস। এরমধ্যে অনেকেই থাকেন প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রামগুলোতে।

জাজারকোট জেলা কর্মকর্তা হরিশ চন্দ্র শর্মা ফোনে রয়টার্সকে বলেন, “আহতের সংখ্যা কয়েকশ হতে পারে এবং মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে।”

এদিকে, পুলিশের মুখপাত্র কুবের কাদায়াত জানিয়েছেন, জাজারকোটে ৯২ জন এবং কর্নালি প্রদেশের পার্শ্ববর্তী রুকুম ওয়েস্ট ডিস্ট্রিক্টে ৩৬ জন নিহত হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল রামিদান্দা গ্রামে।

রুকুম ওয়েস্টে কমপক্ষে ৮৫ জন এবং জাজারকোটে ৫৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা। শুধু জাজারকোটেই কমপক্ষে ৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *