দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটাভুটির দিন ঘোষণা দিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশের আসন্ন এ নির্বাচনের প্রসঙ্গটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ওঠে এসেছে।
বিফ্রিংয়ে বাংলাদেশের এই সম্ভাব্য নির্বাচন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার বলেন, আমরা আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক বার্তা দিয়ে আসছি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আমরা এখনও সেটাই বলছি। বাংলাদেশের মানুষ যা চায় আমরাও সেটাই চাই। আর তা হলো শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা একক কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। একক কোনো দলকে সুবিধা দেওয়ার পক্ষেও না। আমরা সব পক্ষকে সংযত থাকতে, সহিংসতা এড়াতে এবং একসঙ্গে কাজ করে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানাই।
এ ছাড়া ব্রিফিংয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকির ইস্যুতেও প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নকর্তা সাংবাদিক জানান, রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) নিজেই গত বুধবার নিজের ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে কি না জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে ম্যাথিও মিলার বলেন, আমাদের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। আমরা এ হুমকিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমাদের কূটনীতিকদের সঙ্গে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা আবারও রাষ্ট্রদূত হাসকে নিয়ে দেওয়া হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ জানাই। আমরা তাদের (সরকার) মনে করিয়ে দিতে চাই, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী মার্কিন কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে তাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আশা করি তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করবে।
শেয়ার করুন