বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ না করলে প্রবাসেও লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি।
বাংলাদেশের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর স্থানীয় সময়) দুপুরে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাদের এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আনোয়ার হোসেন। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আনোয়ারুল ইসলাম ও মোশারফ সবুজের যৌথ পরিচালনায় ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র নেতা আবদুস সবুর, গিয়াস উদ্দিন, ফারুক চৌধুরী শাহ আলম, সফিক রহমান দুলাল, মুক্তিযোদ্ধা মো. সেলিম, শরিফ লস্কর, ফারুক হোসেন মজুমদার সাইফুল ইসলাম, মাকসুদুল হক চৌধুরী, সাইফুর খান হারুন, মো. খোরশেদ আলম, নুর আলম, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, মো. সুরুজ্জামান, মোস্তাক আহাম্মেদ, মাখলুকুর রহমান, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. তওহিদ, আহম্মেদ সোহেল, রাসেদ রহমান, ম ম জসিম, শাহাদত হোসেন রাজুসহ অনেকেই।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ ফের একতরফা নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। যদিও নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অসন্তোষের কথা বারবার জানিয়েছে। ক্ষমতায় থেকে একতরফা নির্বাচন করতে সরকার এখন প্রশাসন-রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগাচ্ছে। বিশেষ করে পুলিশ ক্ষমতাসীনদের খায়েশ পূরণে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করছে। তারা বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। তবে অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রবাসে বিএনপি নেতাকর্মীরা লাগাতার কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবে।
তিনি অবিলম্বে সরকারকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল বাতিল করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। তা না দেশের জনগণ ও বিদেশিদের পরামর্শ-প্রস্তাব উপেক্ষা করে একপক্ষীয় নির্বাচন করা দেশবাসীর জন্য অশনী সংকেত হবে।
শেয়ার করুন