ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিলেটে দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

সিলেট

সিলেট আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, সিলেটসহ দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। আর দুই দিন পর, মানে আগামী সোমবার থেকে শীত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবেই এমন বৃষ্টি বলেছে সংস্থাটি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের উপকূলে আঘাত করেছিল গত মঙ্গলবার। এর প্রভাবে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আকাশ মেঘলা থেকেছে। গতকাল বুধবার দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টিও হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম উত্তর দিকে এগিয়ে দুর্বল হয়ে গেছে। এরপর প্রথমে নিম্নচাপ ও পরে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এটি ছিল উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও এর কাছাকাছি দক্ষিণ ওডিশা এলাকায়। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়ে চলেছে।

গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে মিগজাউমের প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় দিনাজপুরে, ৩ মিলিমিটার। তবে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে সামান্য।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবীর গতকাল বলেন, দেশের দক্ষিণের জেলাগুলোয় বেশি বৃষ্টি হতে পারে। মূলত এটি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। এতে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য ও দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

বৃষ্টির রেশ আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত থাকবে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ। তিনি গতকাল বলেন, শনিবার বৃষ্টি অবশ্য কমে আসবে।

চলতি বছর এ পর্যন্ত তিনটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে বাংলাদেশে। গত ১৪ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ২৪ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এরপর ১৭ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। এরপর ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আঘাত করল ভারতের উপকূলে।

গত নভেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি ছিল। ডিসেম্বরের প্রায় এক সপ্তাহ চলে গেলেও শীত তেমন পড়েনি। এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, বৃষ্টির পর দুই দিন শীত বেশি পড়বে না। তাপমাত্রা এখনকার মতোই থাকবে।

বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে শীত অনুভূত হতে পারে খানিকটা। বৃষ্টি চলে যাওয়ার দুই দিন বাতাসে আর্দ্রতা থাকবে। তাই তাপমাত্রা কমবে না তেমন। তবে দুই দিনের মধ্যে আর্দ্রতা কমে গেলে সোমবার থেকে শীত বাড়তে পারে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *