শেখ রাসেল
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পরিবেশ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের সাথে সাথে মানবাধিকার লংঘন করছে। মানবাধিকার লংঘনের সাথে জড়িত রাস্ট্রগুলোই জলবায়ু সংকটের জন্য দায়ী। জলবায়ু সংকট সুন্দরবনসহ পৃথিবীর বাস্তুসংস্থানকে বিনষ্ট করছে। জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। উপকূলে সুপেয় পানির সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ভ্রান্ত জলবায়ু নীতি পরিহার করে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। ৯ ডিসেম্বর শনিবার সকালে সুন্দরবনের ঢাংমারিতে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের আয়োজনে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে ’গ্লোবাল ডে অব একশন ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’ কর্মসুচির অংশ হিসেবে সুন্দরবনে বনজীবিদের অবস্থান কর্মস্থান কর্মসুচি পালনকালে বক্তারা একথা বলেন।
শনিবার সকাল ১১টায় সুন্দরবনে বনজীবিদের অবস্থান কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের দলনেতা পরিবেশকর্মী ষ্টিফেন হালদার। অবস্থান কর্মসুচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রিয় যুগ্ম সম্পাদক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ। সুন্দরবনে অবস্থান কর্মসুচিতে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষক নেতা কৃষ্ণপদ মন্ডল, বাপা নেতা ইদ্রিস ইমন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র কমলা সরকার, নদীকর্মী সাংবাদিক হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী শেখ রাসেল, বনজীবি মীরা বিশ্বাস, তরুন মন্ডল, রানা বিশ্বাস, দীপক মন্ডল, কল্পনা সরদার, মানস মন্ডল, সোনালি সরদার, বেল্লাল বেপারি প্রমূখ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাপা’র কেন্দ্রিয় যুগ্ম সম্পাদক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ বলেন জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন, ব্যবহার ও পরিবহন থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় নবায়নযোগ্য সবুজ জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন ভ্রান্ত ঋণ নীতি পরিহার করে শর্তহীন জলবায়ু অর্থায়ন ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে হবে। সুন্দরবনে জলবায়ু অবস্থান কর্মসুচিতে কৃষকনেতা কৃষ্ণপদ মন্ডল বলেন লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়া সুন্দরবন উপকূলের কৃষি ধ্বংসের শেষ কিনারায় এসে পড়েছে। এছাড়া পরিবেশ ও জীববৈচিত্র হুমকিতে রয়েছে। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের কমলা সরকার বলেন ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলবাসী উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। নদী ভাংগন বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। সভাপতির বক্তব্যে বনজীবি ষ্টিফেন হালদার বলেন চারিদিকে পানি থৈ থৈ করলেও নিরাপদ সুপেয় পানি আমরা পাচ্ছি না। সুন্দরবন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে খাপখেয়ে বন্যপ্রাণী টিকে থাকতে পারছেনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরবাড়ি লন্ডভন্ডসহ জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জলবায়ু অর্থায়ন বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু অবস্থান কর্মসুচিতে কয়েকশো বনজীবি অংশগ্রহণ করেন।##
শেয়ার করুন