সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মোট ৬ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে পুলিশ প্রধানের ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুদ (আল-আমিন চৌধুরী) আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মো. শামসুল হক চৌধুরীর মনোনয়ন আটকে যায়। আপিলেও তার মনোনয়ন আজ নামঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানিতে অংশ নেন তিনি।
আপিল নামঞ্জুরে নাখোশ শ্রমিক লীগ যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ড. মো. শামসুল হক চৌধুরী (আ.লীগ) উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমি নিয়ম মেনেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম। ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে জেলা রিটার্নিং অফিস দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০ জন ভোটারের তথ্য যাচাই করে। কয়েকজনের সত্যতা পায়, কয়েকজনের না পেয়ে আমার মনোনয়ন বাতিল করে।
এর বিপরীতে আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলাম। আপিলেও আজ আমার মনোনয়ন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
শুনানিতে আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কারণ আমি যাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে করেই আপিল শুনানিতে যোগ দিয়েছিলাম। সেই প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ভোটারদের নিয়ে এসেছি। অথচ তারা আমাদের ভোটারদের কথাই শুনতে চাননি।
আমি বলেছিলাম নির্বাচনকে উৎসবমুখর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার জন্য। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সেটি হচ্ছে না।অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে সবাইকে নির্বাচনে আনতে হবে, সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাতিল করা হচ্ছে।
আমি মনে করি, এলাকায় আমার ভোট ব্যাংক ও জনপ্রিয়তা আছে। তাই যিনি আমার প্রতিদ্বন্দ্বি তিনি ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন, যে কারণে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আমি এখন এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে ছয় প্রার্থী মনোনয়ন তুলেছিলেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুদ (আল-আমিন চৌধুরী), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেন গুপ্তা (আ.লীগ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান (আ.লীগ), যুক্তরাজ্য শ্রমিক লীগের সভাপতি ড. মো. শামসুল হক চৌধুরী (আ.লীগ), গণতন্ত্রী পার্টি মিহির রঞ্জন দাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঋতেষ রঞ্জন দেব।
তাদের মধ্যে যাচাইবাছাই শেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুদসহ বৈধতা পান তিন প্রার্থী।
শেয়ার করুন