২০২৪ সালে বিশ্বে বেকারত্ব সমস্যা আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে, স্থবির উৎপাদনশীলতা, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং মূল্যস্ফীতি মানুষের রোজগারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে তারা।
জাতিসংঘের শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলেছে, চলমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মূল্যস্ফীতি রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের কারণে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি ধীর হয়ে গেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য বেশি ছিল এবং শ্রমবাজারগুলো আশ্চর্যজনক স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে। তারপরও বেশিরভাগ জি২০ দেশে প্রকৃত মজুরি কমেছে। কারণ, মজুরি বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি। ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী বেকারত্বের হার ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। গত বছর তা কিছুটা কমে ৫ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু ২০২৪ সালে অতিরিক্ত ২০ লাখ মানুষ চাকরিপ্রত্যাশীর তালিকায় যোগ হতে চলায় বৈশ্বিক বেকারত্বের হার বেড়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
আইএলও বলেছে, মূল্যস্ফীতির ফলে সাধারণত জীবনযাত্রার মানের যে ক্ষতি হয়, তা খুব শিগগির পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। সংস্থাটির বিশ্ব কর্মসংস্থান এবং সামাজিক আউটলুক ট্রেন্ডস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বৈষম্য বৃদ্ধি এবং উৎপাদনশীলতায় স্থবিরতা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আইএলও প্রধান গিলবার্ট হাউংবো বলেছেন, ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির সঙ্গে জীবনযাত্রার মানের অবনমন ও দুর্বল উৎপাদনশীলতা বৃহত্তর বৈষম্যের পরিস্থিতি তৈরি করে এবং সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে তোলে। তার মতে, বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া কখনোই টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।
শেয়ার করুন