সোমালিয়ার জলদস্যুদের একটি ছিনতাই প্রচেষ্টা রুখে দেওয়ার দাবি করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
মাল্টার পতাকাবাহী ছিনতাই হওয়া জাহাজ এমভি রুয়েনকে ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল জলদস্যুরা। ভারতের নৌবাহিনী সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাদের ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছে, ‘এমভি রুয়েনকে ব্যবহার করে সোমালিয়ার জলদস্যুদের জাহাজ ছিনতাইয়ের একটি প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।’
তবে ভারত মহাসাগর বা এডেন উপসাগরের কোন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়েছে তা উল্লেখ করেনি তারা।
টুইটে আরও বলা হয়েছে, মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজটিকে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। জলদস্যু কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে জাহাজটি গভীর সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে জানতে পেরে ভারতীয় নৌবাহিনী সেটিকে বাধা দেয়।
গতকাল শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনী জলদস্যুদের অধিকারে থাকা এমভি রুয়েনকে বাধা দেয় উল্লেখ করে টুইটে বলেছে, ‘এই নৌযানটিকে ভারতীয় নৌবাহিনী ১৫ মার্চ বাধা দেয়। সেই জাহাজটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের সময় তারা ভারতীয় যুদ্ধজাহাজের দিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। জবাবে আত্মরক্ষা ও জলদস্যুতা মোকাবিলায় এবং জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জলদস্যুদের নিষ্ক্রিয় করতে ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করা হয়।’
পরে ভারতীয় নৌবাহিনী এমভি রুয়েনে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ও নৌযানটিতে কোনো বেসামরিক নাগরিক থাকলে তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে কি না কিংবা জাহাজটিতে কোনো বেসামরিক নাগরিক ছিল কি না এবং থাকলে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ভারতীয় নৌবাহিনী।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভালফোর্স বা ইইউন্যাভফর অনুমান করছে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আবদুল্লাহর দখল নিতে অপর একটি ছিনতাই করা জাহাজ ব্যবহার করেছে সোমালি জলদস্যুরা। সংস্থাটি জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহে অন্তত ১২ জন জলদস্যু উঠেছে।
সংস্থাটির অনুমান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিনতাই হওয়া মাল্টার পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার রুয়েনকে ব্যবহার করেছে জলদস্যুরা। ব্রিটিশ ম্যারিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে বলছে, এমভি আবদুল্লাহকে যখন ছিনতাই করা হয়, তখন রুয়েন মাত্র ২৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল এবং পূর্বদিকেই যাচ্ছিল।
শেয়ার করুন