৭ দিনের রিমান্ডে অরবিন্দ কেজরিওয়াল

জাতীয়

আবগারি (মদ) নীতি ২০২১-২২ নিয়ে অনিয়মে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তাকে রাউস এভিনিউ আদালতে তোলা হলে ইডির দশ দিনের হেফাজতের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক ২৮ মার্চ পর্যন্ত তাকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার আদালতে যাওয়ার সময় কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমার জীবন দেশের জন্য নিবেদিত। জেল হলেও সেখান থেকে আমি দেশের জন্য কাজ করে যাব।’

কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা এর আগে কখনো রাজনৈতিক বিবৃতি দেননি। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লেখেন, ‘তিনবারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে মোদিজি গ্রেপ্তার করালেন ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে। সবাইকে তিনি দুমড়েমুচড়ে দিতে চাইছেন। দিল্লির জনগণের সঙ্গে এটা বিশ্বাসঘাতকতা। তার জীবন দেশের জন্য সমর্পিত। জনতা সব জানে। জয় হিন্দ।’

আবগারি (মদ) নীতি সম্পর্কিত দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টির (আপ) আহ্বায়ক কেজরিওয়ালকে ইডি মোট ৯ বার সমন জারি করেছিল। কিন্তু তিনি একবারও হাজিরা দেননি। শেষবার সমন পাঠানো হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। সেদিনও তাকে ইডি দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু হাজির না হয়ে কেজরিওয়াল দিল্লি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। হাইকোর্ট তা না দেওয়ায় রাতেই তাকে বাড়ি থেকে অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলাতেই গ্রেপ্তার হয়েছেন কেজরিওয়ালের সতীর্থ সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী নেতা মনীশ সিসোদিয়া ও এএপির রাজ্যসভা সদস্য সঞ্জয় সিং। গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয় তেলেঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেত্রী কে কবিতাকেও।

শুক্রবার আদালতে ইডির হয়ে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, পিএমএলএর নির্দিষ্ট ধারা মেনেই কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এই অপরাধের সঙ্গে সরাসরি শুধু যুক্তই নন, তিনিই নাটের গুরু। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার জন্যই ওই নীতি তৈরি করা হয়েছিল।

ভারতের ইতিহাসে কেজরিওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিছুদিন আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তবে তিনি কেজরিওয়ালের মতো মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হননি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে আম আদমি পার্টি (এএপি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কেজরিওয়াল। ২০১৫ সালে এবং ২০২০ সালে মোদির শক্তিশালী দল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়েই তুমুল নির্বাচনী জয় পেয়েছিলেন তিনি। ৭০ সদস্যের বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৫ সালে ৬৭ এবং ২০২০ সালে ৬২টি আসন জিতেছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *