গোলাপগঞ্জে জাল ভোটের অভিযোগ তিন পরাজিত প্রার্থীর

সিলেট

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পাশাপাশি জাল ভোটের মহোৎসব হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে নগরের জিন্দাবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত তিন প্রার্থী এমন অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহিদুর রহমান চৌধুরী, ব্রাজিল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু সুফিয়ান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লবিবুর রহমান। তাঁরা জাল ভোটের অভিযোগ এনে ৮ মে হওয়া নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী চেয়ারম্যান এবং তালামীয-সমর্থিত হিসেবে পরিচিত মো. নাবেদ হোসেন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী শাহিদুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসান ইকবালসহ পুরো প্রশাসন নির্লজ্জভাবে মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেছে। এটি ছিল প্রহসনের নির্বাচন। সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করেন মঞ্জুর কাদির শাফির কর্মী-সমর্থকেরা। ব্যাপক জাল ভোট দিয়ে মঞ্জুর কাদিরকে বিজয়ী করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন কেন্দ্রে মঞ্জুর কাদির শাফি ছাড়া অন্য প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার পাশাপাশি প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা জাল ভোট দেন। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক, ভোটারদের মঞ্জুর কাদির শাফির লোকজন হামলা করে আহত করেন। অনেক ভোটার ভয়ের কারণে কেন্দ্রে যাননি। নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমনকি ভোট গণনার সময়ও কারচুপি করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে।
পরাজিত তিন প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসান ইকবালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। বিজয়ী প্রার্থী মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার নিজের কেন্দ্রে প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কেন্দ্রে ৬০ থেকে ৭২ শতাংশ ভোট পড়েছে। তাঁরাই (পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী) ভোট কারচুপি ও অনিয়ম করেছেন। এখন উল্টো মিথ্যা অভিযোগ এনে নাটক করছেন।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *