স্টাফ রিপোর্টার:
মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের (পৌর-২ শাখা) উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১’কে প্রদান করা হয়। এদিকে পৌরসভার দুই কাউন্সিলর নিজেদেরকে প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দাবী করেছেন। এনিয়ে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী ও ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিক মিয়া ওরফে রফিক হাসানের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ এখন চরম আকার ধারণ করেছে।
এদিকে বিশ্বনাথ পৌরসভার ‘প্যানেল মেয়র’ এর দায়িত্ব গ্রহন প্রসঙ্গে রোববার (৩০ জুন) ‘সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় শাখার উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি)’ বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন বিশ্বনাথ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী। আর ওই লিখিত আবেদনের অনুলিপি ‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিশ্বনাথ পৌরসভার পৌর নির্বাহী অফিসার’কে প্রদান করা হয়েছে।
পৌর কাউন্সিলর ফজর আলী তার লিখিত আবেদনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের (পৌর-২ শাখা) উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত দুই প্রজ্ঞাপনের (বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন) সূত্র ও প্রজ্ঞাপনের আংশিক বর্ণনা দিয়ে উল্লেখ করেছেন বিগত ২৪.০৩.২০২৪ ইং তারিখের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে প্যানেল মেয়র-১ নির্বাচন করা হয়। সেই মোতাবেক আমি প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার দাবিদার। পৌরসভার আইন অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন হওয়ার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর করার বিধান রয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব হস্তান্তর হওয়ার পূর্বেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির দায়ে বাদপড়া বিশ্বনাথ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র-১ ও ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিক মিয়া ওরফে রফিক হাসান নিজেকে প্যানেল মেয়র দাবী করে বেআইনিভাবে সভা আয়োজন’সহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে ধুরম্রজাল সৃষ্টি করতেছেন। অতএব বিষয়টি বিবেচনা করে বিধি মোতাবেক আমাকে প্যানেল মেয়র এর দায়িত্ব প্রদান করিতে সার্বিক সহযোগীতা করতে আপনার একান্ত মর্জি হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় শাখার উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) সুবর্ণা সরকার’র বলেন, এব্যাপারে বিশ্বনাথ পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলীর প্রদান করা কোন লিখিত আবেদন আমি পাইনি। আর অফিসের কারও কাছে দিয়ে থাকলে, সেটা আমার জানা নেই।
শেয়ার করুন