স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. লিলু মিয়া বাদী হয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীকে প্রধান আসামী ও আরো একজনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট ১ম আদালতে সুহেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাদী অভিযোগ দায়ের করেন। বিশ্বনাথ দ্রুত বিচার মোকদ্দমা নং সি আর ৩৭/২০২৪ ইং এর আরজির প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ থানাকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতের আদেশে বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী। এফআইআর নং ১৪/২০২৪ ইং
মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামী হচ্ছেন ১. মো. সুহেল আহমদ চৌধুরী (৪৮) পিতা মৃত আখলু মিয়া চৌধুরী, সাং কারিকোনা, ২. জাহাঙ্গীর (৩৩), পিতা মৃত সোনাফর আলী, সাং বিদায় সুলপানি, বিশ্বনাথ, সিলেট।
বাদী আরজিতে উল্লেখ করেছেন, গত ১ এপ্রিল ২০২২ ইংরেজী অনুমান ৮টা ৩০ মিনিটের সময় বিশ্বনাথ নতুন বাজারস্হ যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাবুল মিয়ার বাসায় ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যান। প্রয়োজনীয় কাজ শেষে উক্ত মামলার ১নং স্বাক্ষী মজমিল আলীকে সাথে নিয়ে তাহার সিলেটের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন রাত অনুমানিক ৯ ঘটিকার সময়। বিশ্বনাথ থানাধীন কারিকোনা বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্হার উপর হইতে জগগন্নাথপুর টু সিলেটগামী মিনি বাসে উঠাকালীন সময়ে ১ ও ২ নং আসামী সহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জন আসামী পূর্ব শত্রুতার জেরে বাদী লিলু মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে ঘেরা, মারধর, জোর পূর্বক আক্রমণ করে প্যান্টের পকেটে থাকা এক লক্ষ টাকা ছিনাইয়া নেন।
বাদী মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত সুহেল আহমদ চৌধুরী আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্র ছায়ায় বেড়ে উঠা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং বিএনপি থেকে বহিস্কৃত। বিভিন্ন অপরাধে তিনি ১১টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।
মামলাটির বিষয়ে বিশ্বনাথ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা হয়েছে, আমরা আদালতের নির্দেশে মামলা গ্রহণ করেছি এবং দ্রুত মামলাটির তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন