ব্যাংকিং খাতে চলছে সংস্কার। একই সঙ্গে- এস আলমের দখলে থাকা ব্যাংকগুলো মুক্ত করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রক্রিয়া চলছে, আরও ৪টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয়ার। এদিকে, শূন্য থাকা পদে ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ দিতে, তালিকা চূড়ান্ত করেছে সার্চ কমিটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেছে নেয়, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরকে। দায়িত্ব পালনের দুই সপ্তাহ পূর্ণ হয়নি তার। তবে, হাবুডুবু খাওয়া ব্যাংক খাত সংস্কারে উদ্যাগ নিতে হয় শুরুর দিন থেকেই।
সংস্কারের অংশ হিসেবে, ইসলামী ব্যাংক এস আলমমুক্ত করা হয়, গত বৃহস্পতিবার। চলতি সপ্তাহেই, এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একের পর এক, হাতে নিচ্ছেন ব্যাংকিং খাত সংস্কারে, যাতে সমর্থন দিচ্ছেন বিশ্লেষকরাও।
বোর্ড পুনর্গঠন করে, সংস্কারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে আরও ৪টি ব্যাংক। তার তিনটিই অবশ্য, এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা। আর একটি, তারই আত্বীয়, আরেক পরিবারের একক নিয়ন্তণে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে।
এ দিকে, শাসন দূর্বলতা কাটাতে শিগগিরিই দুই ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ চূড়ান্ত হচ্ছে। সার্চ কমিটি, প্রাথমিক বাছাই তালিকা চূড়ান্ত করে।
বাছাই তালিকা থেকে, দুজনকে শূন্য পদে নিয়োগ দেবে অন্তর্ববর্তীকালীন সরকার। তবে, এখনো শূন্য রয়েছে, আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের শীর্ষ নির্বাহীর পদ।
পূনর্গঠন হচ্ছে যে চার ব্যাংকের বোর্ড : ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
শেয়ার করুন