আমনের সেচের সুবিধার জন্য আগামী ১২ থেকে ১৫ দিন গ্রামে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সভায় বিবিধ বিষয়ে দুই-তিনটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটা হলো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাটাকে কীভাবে আরও অ্যাফেকটিভ করা যার এর মধ্যেই। ইনস্ট্যান্টলি তো বাড়ানো সম্ভব হবে না। সে জন্য আলোচনা হয়েছে কতগুলো…।
‘যেগুলো আমাদের খুবই ইম্পারেটিভ (গুরুত্বপূর্ণ), সে ইন্ডাস্ট্রিগুলো (শিল্প) যাতে ডিস্পারেট (বাধাগ্রস্ত) না হয়। যেমন ফার্টিলাইজার প্রডাক্টশন। ফার্টিলাইজার ইন্ডাস্ট্রিগুলো যদি বন্ধ করতে হয়, তাহলে এটা আবার চালু করতে লম্বা সময় লাগে।’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ইম্পোর্ট্যান্ট যে সিদ্ধান্ত হয়েছে… পানির ব্যাপক ক্রাইসিস। আপনারা জানেন গত জুলাই মাসে যে বৃষ্টি হয়েছে, সেটা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৫৭ শতাংশ কম। সারা পৃথিবীতেই খরা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশেও তা পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভা একটা ডিরেক্টিভ দিয়ে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন এবং কৃষিমন্ত্রী ও অন্য সবাই একটা সাজেশন দিয়েছেন আগামী ১০-১৫ দিন যাতে গ্রাম এলাকায় মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত আনইটারেকটিভ (নিরবচ্ছিন্ন) পাওয়ার ইনশিওর (নিশ্চিত) করা যায়। যাতে সেচের কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। যেহেতু ওই সময়টা পিক আওয়ার।
‘আগে পিক আওয়ার ছিল ১১টা পর্যন্ত। এখন পিক আওয়ার চলে যাচ্ছে ১২টা, সাড়ে ১২টা, ১টা পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। যেহেতু দিনের বেলা ইয়ে দিতে পারে না…। সে জন্য অ্যাডজাস্ট করে বলা হয়েছে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত আনইটারেকটিভ ইরিগেশন (সেচ) ইনশিওর করা যায় সে জন্য আরইবিকে (বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড) ততটুকু সম্ভব বিদ্যুৎ সাপ্লাই নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত’ বলেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
শেয়ার করুন