স্টাফ রিপোর্টার:
চোখের জলে প্রিয় শিক্ষককে বিদায় জানালেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের চারিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ বছর বছর শিক্ষকতা করার পর প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক শিবানী ভট্টাচার্য্য আজ অবসরজনিত বিদায় নেওয়ার মুহূর্তে তৈরি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ। সংবর্ধনার শেষ মূহুর্তে বিষাদে পরিনত হয়। কান্নার রুল পড়ে অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও শিক্ষার্থীদের মাঝে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নেছার আহমদ এবং সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদায়ী শিক্ষক শিবানী ভট্টাচার্য্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শক্তি রানী দে এর সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম ও মুস্তাক আহমদ এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ সুহেল রানা, বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শাহিন উদ্দিন, চারিগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, চন্দগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিমা রানী দাস, আমতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক করুণা চন্দ্র নাথ।
স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য ও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন সংক্রান্ত দাবি তুলে বক্তব্য রাখেন, সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান, সাজ্জাদুর রহমান, আবু সাইদ, আবু শহিদ ও নুরুল আমিন। দাবীর প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার দ্রুত দাবী বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
অনুষ্টানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা রুবেল আহমদ, গীতা ও মানপত্র পাঠ করেন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নীরব দেবনাথ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অত্র বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা জান্নাত তাসমিয়া।
এসময় চারিগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, সহকারী শিক্ষক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, চারিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পূর্ণিমা রানী দেব, হাফছা খাতুন, অভিভাবক সদস্য, সাবেক শিক্ষার্থীসহ প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।
এ সময় প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিবানী ভট্টাচার্য্যকে উপহার প্রধান করা হয়।