রিংকু দেবনাথ
মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বুল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কানিজ ফাতিমা পালিয়ে গেছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামীর বাড়ি বিক্রির নগদ ১২ লাখ টাকা এবং সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছেন কানিজ ফাতিমা। তবে রেখে গেছেন দুই পুত্রসহ ১ কন্যা সন্তানকে। কানিজ ফাতিমার স্বামী মিজান মিয়া জানান- ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম। ২০ বছর সংসারও করেছি।এই পর্যায়ে এসে স্ত্রী কানিজ ফাতিমা এক খেলনা বিক্রেতার সাথে পালিয়ে যাবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। গ্রামে গ্রামে গিয়ে খেলনা বিক্রেতার নাম ওয়াসিম মিয়া। তার বাড়ি ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার শাহবাজপুর গ্রামে। কয়েক মাস পূর্বেও ওয়াসিম মিয়ার সাথে কানিজ ফাতিমা পালিয়ে যায়। পরে কানিজ ফাতিমার ভাইয়েরা তাকে নিয়ে আসে স্বামীর কাছে বুঝিয়ে দেয়। আবারও স্কুল শিক্ষিকা কানিজ পালিয়ে গেছেন।
মিজান মিয়া জানান- ৫ সেপ্টেম্বর কানিজ ফাতিমা তার সাথেই ছিল। পরে ১ সেপ্টেম্বরের তারিখে তাকে তালাক দেয়া হয়। একসাথে থেকে পূর্বের তারিখে কিভাবে তালাক দেয়া হয়েছে প্রশ্ন মিজান মিয়ার। ৫ সেপ্টেম্বর স্কুল থেকে ২০ দিনের ছুটি নেয় সে। পরে আরও ১ মাসের ছুটির আবেদন করে কানিজ ফাতিমা। ইতিমধ্যে ওয়াসিম মিয়াকে সে বিয়ে করে। এখন ওয়াসিম মিয়ার সাথেই সে আছে। সতর্কতা মূলকভাবে ওয়াসিম মিয়ার সাথে কানিজা ফাতিমার বিয়ে ও ডকুমেন্ট – গোপন করা হচ্ছে বলে জানান মিজান মিয়া। তিনি জানান- কানিজ ফাতিমা পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ি বিক্রির নগদ ১২ লাখ টাকা ও সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। কানিজ ফাতিমার পরামর্শেই মিজান মিয়া বাড়ি বিক্রি করেন। সেই টাকা দিয়ে মাধবপুর শহরে জায়গা কেনার কথা ছিল। বর্তমানে কানিজ ফাতিমা ও ওয়াসিম মিয়া অজ্ঞাত স্থানে বসবাস করে আসছেন। প্রতারনা করে অর্থ আত্মসাত, তালাক কার্যকর না হওয়ার পরও দ্বিতীয় স্বামী গ্রহনসহ বিভিন্ন অভিযোগে কানিজ ফাতিমার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মিজান মিয়া।