একই এলাকার ব্যবসায়ী টিটু রহমান শুক্রবার সকালে জুমবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল ৫০০ টাকা নিয়ে সবজি কিনতে গিয়েছিলাম। দাম শুনে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ। দুই-একটি ছাড়া সব সবজির দাম ১০০ টাকার উপরে। যা কিনলাম তা দিয়ে একটা ছোট ব্যাগও ভর্তি হলো না।’
বিক্রেতারা বলছেন, শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, সারাদেশেই সবজি দাম চড়া। শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে কিন্তু মোকামগুলোতে সরবরাহ কম। তারা বলছেন, বন্যার কারণে সবজির জোগান কমেছে।
শুক্রবার রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম বাড়লেও গত সপ্তাহের চেয়ে ডিম, পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। ১০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে শুধু চারটি সবজি। এগুলো হলো পেঁপে, পটোল, ঢ্যাঁড়স ও মুলা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা দরে। এছাড়া পটোল, ঢ্যাঁড়স ও মুলার কেজি বাজারভেদে ৬০-৮০ টাকা।
বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকা দরে। এরমধ্যে আছে গোলবেগুন, বরবটি, করলা, ঝিঙা, চিচিঙা, ধুন্দলের মতো সবজি। এসব সবজির দাম ১০০ টাকার নিচে নামছেই না।
সবজির খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এসব সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা।
কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের দাম নিয়ে বেড়েছে ক্রেতাদের অস্বস্তি। আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২৮০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। কখনো কখনো ৪০০ টাকা ছাড়িয়েও যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পাইকারি কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি অস্বাভাবিক। উত্তরাঞ্চলেরও বেশ কিছু এলাকায় বন্যা হচ্ছে। ফলে ক্ষেতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকার মোকামগুলোতেও সরবরাহ কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। সেজন্য উৎপাদন এলাকায় কৃষকরাও এখন তুলনামূলক দাম বেশি নিচ্ছেন।
এদিকে, আমদানির উদ্যোগ ও শুল্ক কমানোর খবরে গত তিন দিনে ডিমের দাম কমেছে। শুক্রবার প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা সপ্তাহের শুরুতেই ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
তবে এ সময় ব্রয়লার মুরগির দর কমেনি। এখনো ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা দরে। সোনালি জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।
ভারত রপ্তানির শর্ত শিথিল করায় দেশের বন্দরগুলো দিয়ে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। তারপরও কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে।