স্বর্ণের দাম শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো আউন্সপ্রতি ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৭০০ ডলারের মাইলফলক। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যায়। একইসঙ্গে উত্তাপহীন মুদ্রানীতির কারণে স্বর্ণের দর দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। বৈশ্বিক বাজারের প্রভাবে দেশের বাজারেও বাড়তে পারে দাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে স্বর্ণের দাম সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। দুবাই জুয়েলারি গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বাজার খোলার সময় ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম গ্রামপ্রতি ৩২৪ দশমিক ২৫ দিরহামে উঠে গেছে, যা বুধবার বাজার বন্ধের সময় ছিল ৩২৩ দশমিক ৭৫ দিরহাম।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমিরাতের সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে হয় আউন্সপ্রতি ২,৭১১ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে একই পরিমাণ বেড়ে হয় আউন্সপ্রতি ২,৭২২ ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন, ফেডারেল রিজার্ভের সুদ হার হ্রাস ও মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা ঘিরে এখন বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী স্বর্ণের দাম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোয় বিশ্বে বাড়ছে স্বর্ণ কেনার প্রবণতা। বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বাড়ছে, এতে যে কোনো সময় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। আর বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। তাই যে কোনো সময় দেশের বাজারেও দাম সমন্বয় করা হতে পারে।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সে হিসেবে সবশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। ভরিতে ১ হাজার ২৫৯ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এটি কার্যকর হয়েছে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
শেয়ার করুন