রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। ওই এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দলটির নেতাকর্মী বা অন্য কাউকে সেখানে ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে আজ শনিবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশ ওই এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। পরে দুই পক্ষই কর্মসূচি স্থগিত করার কথা জানায়।
ডিএমপি বলছে, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বেলা ১২টার দিকে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে আসে সেনাবাহিনীর দুটি টহল গাড়ি।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির অফিসের ঠিক সামনে দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা। অন্যদিকে গণমাধ্যমের কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য কাজ করছেন কার্যালয়ের সামনে।
আগুন দেওয়া ভবনটি খালি পড়ে আছে। উৎসুক জনতা ভবনটির সামনে দিয়ে যাচ্ছেন আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন, কেউ আবার ছবিও তুলে রাখছেন।
ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীর পাইওনিয়ার রোড ও কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
এতে বলা হয়, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নম্বর ১১১-৭৬)–এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল শনিবার পাইওনিয়ার রোডের ৬৬ নম্বর ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে বনানীতে পূর্বনির্ধারিত শনিবার সমাবেশ করার ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
ডিএমপির নিষেধাজ্ঞার পরে অনুষ্ঠেয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ স্থগিত করে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
শেয়ার করুন