গতকাল অন্তবতী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে এই বক্তব্যে আশাহত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখ্রুল ইসলাম আলমগীর।
আজ (সোমবার) ১৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখ্রুল একথা বলেন। মূলত মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নির্বাচনের রূপরেখা দিবেন।”
মওলানা ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি ছিলেন আমাদের বটবৃক্ষ। তার উত্থান হয়েছিল সাধারণ পরিবার থেকে। তার অধীনে আমরা বসবাস করেছি। মানুষকে মহিমান্বিত করার মাধ্যমে তিনি সামনে চলে আসেন।” এসময় তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “রাজনৈতিক পরিবর্তন বুঝতে হবে। ছেলেরা কী চায়? সত্যি কথা আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই সংগ্রাম করেছি। কিন্তু জুলাই আগস্টে শেষ গোলে কিক করেছে ছাত্ররা। বন্দুকের গুলির সামনে আবু সাঈদের বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকাটাই ছিল ‘টার্নিং পয়েন্ট অব মুভমেন্ট ‘। তাই বলছি, ছাত্রদের সাথে কোন দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে না। এই জিনিসগুলো চিন্তা করতে হবে। ছাত্রদের কথা বলার অধিকার আছে, তারা কথা বলবেই।”
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “দ্রুত নির্বাচন হলেই দেশের জন্য মঙ্গলজনক। আমরা দেখেছি, ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের আমলে কিংস পার্টি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল তারা। বর্তমান সরকার ক্ষমতা থাকায় কোন ম্যানডেট নেই, তেমন কোন শক্তি নেই।”
“আমরা তো সরকারকে বাধা দিচ্ছি না বরং সমর্থন জানাচ্ছি। কিন্তু সচিবালয় বসে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের রেখে কীভাবে সংস্কার করবেন? দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট এখনো ভাঙতে পারেননি, মানুষ অশান্তিতে আছে”, যোগ করেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের নেতা এস কে সাদির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন,আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান প্রমুখ।
শেয়ার করুন