ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের ২ মিলিয়ন (প্রায় ২০ লাখ) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে মেটা। গত ২১ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। এই সিদ্ধান্তের পিছনে মূল উদ্দেশ্য পিগ-বাচারিং স্ক্যাম (Pig-butchering scams) মোকাবেলা করা। মেটা জানায়, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সামাজিক মিডিয়া, মেসেজিং অ্যাপ, ডেটিং অ্যাপ এবং ইমেইলের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। পিগ-বাচারিং স্ক্যামের মাধ্যমে ভিকটিমদের ভুল তথ্যের মাধ্যমে তাদের কাছে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয় এবং প্রতারণা করে তাদের টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।
পিগ-বাচারিং স্ক্যামে প্রথমে বিভিন্ন অ্যাপের সাধারণ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করা হয়। অপরিচিত মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার আগ্রহ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে অর্থ সংগ্রহ করে সাইবার অপরাধীরা। এমনকি ব্ল্যাকমেইল করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা চালিয়ে ব্যাংক থেকে অর্থও চুরি করে তারা। আর তাই অনলাইনে পরিচিত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
অপরাধী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছে মেটা, যার মধ্যে রয়েছে:
১. বিপজ্জনক সংস্থা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নীতিমালা: মেটা তাদের নিরাপত্তা নীতি অনুযায়ী অপরাধী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে চিহ্নিত করে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
২. অন-ফেসবুক অ্যাকশন: অপরাধী চক্রগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করা এবং তাদের অপারেশনগুলো বন্ধ করতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
৩. অন্যদের সঙ্গে সহযোগিতা: মেটা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং দেশগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে, যাতে স্ক্যামগুলির বিস্তার বন্ধ করা যায় এবং অপরাধীদের শনাক্ত করা যায়।
৪. আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সমন্বয়: মেটা বিশ্বের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে তথ্য শেয়ার করে তাদের সাহায্য করছে যাতে তারা সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
মেটা তাদের প্ল্যাটফর্মে অপরাধী কার্যকলাপ রোধে এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করছে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
শেয়ার করুন