সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজ থেকে পোস্ট দেওয়ায় আলোচনার ঝড় উঠেছে জগন্নাথপুরে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের ভেরিফাই পেজ থেকে ওসি’র বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া হয়। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড, ইউনূসের কঠোর সমালোচনা করে ঐ পোস্টে বলা হয়, জগন্নাথপুর উপজেলায় যোগাদানের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এছাড়াও ফেসবুক পোস্টে ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজনৈতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা অনেকই জানান, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের লোকগন গত ১৫ বছরের যে অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় নাই। ফ্যাসিবাদী পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলা সহ অনেক ভুক্তভোগীরা মামলা দায়ের করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। বিশেষ করে উপজেলার নেতারা অবৈধ টাকার পাহাড় বানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলে তিনি সেই আসামীদের গ্রফতার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করে আসছেন।
জগন্নাথপুর থানায় যোগদানের পর থেকে থানা এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা নিরাপত্তা রক্ষায় দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেন। আলোচিত সিএনজি চালক সুজিত দাশ হত্যা মামলার ৩ পলাতক আসামীকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার সহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করেন। অল্প দিনে সুনাম অর্জনম করায় হিংসা পরায়ণ হয়ে ফ্যাসিবাদ আওয়ামিলীগ একজন ভালো ওসি’র বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা লুৎফুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আফজল হোসাইন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন,পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করার ঘৃণ্য সংস্কৃতি এদেশে চালু করেছিল ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ ১৬ বছর এই বাহিনীকে দিয়ে এহেন কোনো কাজ নেই যা আওয়ামী লীগ করে নাই। তারা গুম-খুন, লুটতরাজ সহ জুলুমের ঘৃণ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি এদেশে চালু করে জনগনকে আয়নাঘরের মতো জুলুমের ঘরও দেখিয়েছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের পতনের পর উপদেষ্টা সরকারের প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনগণের মনে কোনো প্রশ্ন না থাকলেও আওয়ামীলীগ তার স্বৈরাচারী মনোভাবের অংশ হিসেবেই প্রশাসনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
আমরা আওয়ামী লীগের এহেন মিথ্যা প্রচারণা ও গুজবের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি আওয়ামী ফ্যসিবাদের দোসর, দুর্নীতিবাজ ও অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে এদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
শেয়ার করুন