পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে কনটেইনারবাহী সেই জাহাজ আবারও আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামের জাহাজটি আগামী শুক্রবার বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। জাহাজটিতে এবার আগের বারের দ্বিগুণ; ৮২৫টি একক কনটেইনারে পণ্য আনা হচ্ছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজের আগমন ও অবস্থানের তথ্য নিয়ে প্রতিদিনের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, এবার জাহাজটিতে সম্ভাব্য ৮২৫ একক কনটেইনার রয়েছে। এসব কনটেইনার নামিয়ে অন্তত ১ হাজার ২০০ একক কনটেইনার নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিপিং কোম্পানিটির। তবে জাহাজটি বন্দর জলসীমায় পৌঁছানোর পর সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে।
গত নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমবার ৩৭০ একক কনটেইনার আনা হয় জাহাজটিতে করে। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭ একক কনটেইনার, বাকিগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।
এবার দ্বিতীয়বারের মতো পণ্য নিয়ে রওনা হওয়া জাহাজটিতে প্রথমবারের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি কনটেইনার রয়েছে। এসব কনটেইনারে কী পণ্য রয়েছে, তা জানা যায়নি। শিপিং কোম্পানি অনলাইনে আমদানি পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার পর জানা যাবে—এবার কী কী পণ্য রয়েছে।
জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান মেরিন ভ্যাসেল ট্রাফিক ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রামমুখী জাহাজটি এখন শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি রয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনার পণ্য বোঝাই করা হয় জাহাজটিতে।
শিপিং কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, মূলত পোশাকশিল্পের কাঁচামাল ও রাসায়নিক, খনিজ পদার্থ ও ভোগ্যপণ্য পণ্যই পাকিস্তান থেকে আনা হয় কনটেইনারে। এবারও জাহাজটিতে এসব পণ্য থাকতে পারে।
দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’একটি কনটেইনার জাহাজ দিয়ে নতুন এই বাণিজ্যিক সেবা লাইন চালু করেছে। এই সংস্থার বাংলাদেশে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছে কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিজেনসি লাইনস লিমিটেড।
এ ব্যাপারে গ্রুপটির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমবারের তুলনায় এবার পাকিস্তান থেকে কনটেইনার আনার হার বেড়েছে। এখন একটি জাহাজ ৩৮ থেকে ৪২ দিনে একবার আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রামে আসছে।
কনটেইনারের সংখ্যা বাড়লে নতুন এই পথে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।
করাচি থেকে প্রথমবার পণ্যবাহী জাহাজ আসার পর বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এই সরাসরি শিপিং রুটকে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি এই অঞ্চলে আরও সমন্বিত ও বাণিজ্য নেটওয়ার্ক জোরদারে একটি বড় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
শেয়ার করুন