হেসেখেলেই ফাইনালে উঠেছে ফরচুন বরিশাল। কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত আসতেও খুব একটা কঠিন পথ তাদের পাড়ি দিতে হয়নি। আসলে বরিশালের ক্রিকেটাররাই পথটাকে সহজ করেছেন। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অনেকটা একই দল নিয়েই খেলে যাচ্ছে দলটি।
ক্রিকেটাররা ভরসার প্রতিদানও দিচ্ছেন। ফাইনালের আগে দলটির শক্তি বাড়ছে আরও। দলে এবার যোগ দিচ্ছেন নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। পরীক্ষিত দেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাইল মায়ার্স, ডেভিড ম্যালানরা আছেন, সঙ্গে বরিশালের ‘লঞ্চে’ উঠেছেন নিশামও। বরিশালের এই লঞ্চকে থামাবে কারা?
যদিও নিশাম কার জায়গায় খেলবেন, সেটি একটি প্রশ্ন। গতকাল প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে বরিশালের ৪ বিদেশি ছিল ডেভিড ম্যালান, কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ নবী ও মোহাম্মদ আলী। ৫ উইকেট নিয়ে আলী কাল হয়েছেন ম্যাচসেরা। মাত্র ৮ ম্যাচ খেলেই ১৫৭ স্ট্রাইক রেটে ম্যালান করেছেন ৩১৫ রান। চিটাগংয়ের বিপক্ষে কাল ২২ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ম্যালানকে নিয়েও প্রশ্ন নেই।
মায়ার্স বরিশালের নিয়মিত ক্রিকেটার। গত মৌসুমেও দলটির হয়ে খেলেছেন। এই মৌসুমে মাঝপথে গিয়েছিলেন আইএল টি-টোয়েন্টি খেলতে। গুরুত্ব আছে বলেই আবার ফিরেছেন। নতুন বলে বরিশালের নিয়মিত বোলার এই অলরাউন্ডার।
কাল উইকেট পেয়েছেন প্রথম ওভারেই। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ৫ ইনিংসে ব্যাটিং করে রানও করেছেন ১৬৩, স্ট্রাইক রেট ১৮০–এর বেশি। পেস বোলিং অলরাউন্ডার নিশামকে আরেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার মায়ার্সের জায়গায় কি খেলাবে বরিশাল? এ সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিনই। সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণও! কারণ, শুরু থেকেই দলের সঙ্গে থাকা মায়ার্স কন্ডিশনের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছেন।
সে ক্ষেত্রে নবীর জায়গায় খেলতে পারেন নিশাম। ১০ ম্যাচে মাত্র ৬৩ রান করা নবী উইকেট নিয়েছেন ৮টি। বরিশাল দলের এত পারফরমারের ভিড়ে নবীর নিষ্প্রভ থাকা খুব একটা চোখে পড়েনি।
গত মৌসুমে নিশাম বিপিএল খেলেছিলেন রংপুরের হয়ে। মিরপুরে ৯৭ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংসও আছে তাঁর।