সিলেটে পাওনাদারের চাপে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় রিপন মিয়া (২৬) নামের এক যুবককে ৫ দিন পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে শাহপরাণ (রহ.) থানার একদল পুলিশ।
জানা যায়, সিলেট মহানগরীর বালুচর আল-ইসলাহ এলাকার বাসিন্দা লিটন মিয়া (৪৫) তার ছেলে রিপন মিয়া নিখোঁজ হয়েছেন বলেন শাহপারাণ (রহ.) থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়োরি কারেন। তিনি সাধারন ডায়েরিতে জানান তার ছেলে রিপন ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর বালুচর আল-ইসলাহ থেকে বের হওয়ার নিখোঁজ হয়।
পরবর্তীতে ২৮ ফেব্রয়ারি নিখোঁজ রিপন মিয়ার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে তার পিতা লিটনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে হাত, পা ও মুখ বাধা একটি ছবি পাঠানে হয়। তবে কোনও মুক্তিপণ চাওয়া হয়নি। এই ঘটনার পরপরই শাহপরাণ (রহ.) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেনর নির্দেশনার কাজে নেমে পড়ে থানার একদল পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শাহপরাণ (রহ.) থানার এসআই সৈয়দ ফখরুল ইসলাম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রিপন মিয়ার অবস্থান সনাক্ত করেন। তারই নেতৃত্বে এবং শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে সোমবার রাত ২টার দিকে রিপন মিয়াকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তার পিতার লিটন মিয়ার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উদ্ধারের পর রিপন মিয়া পুলিশকে জানায়, তার কাছে বিভিন্ন লোক ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার ঋণ পেত। এই ঋণ থেকে বাঁচতে সে আত্মগোপনে চলে যায় এবং রিপন নিজেই হাত, পা বাধা ছবি পাঠায়।
এ ব্যাপারে শাহপরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, রিপন মিয়ার পিতা লিটন মিয়ার তার ছেলে নিখোঁজ হয়েছে বলে আমাদের থানায় একটি জিডি করেন। পরে আমাদের থানার পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তার পিতার লিটন মিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।