জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বেহেশতে যেতেও রাজি নন’ বলে ঘোষণা দেওয়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এবার অংশ নিলেন জামায়াতের ইফতার মাহফিলে।
শনিবার (৮ মার্চ) টাঙ্গাইলের প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা জামায়াতের বিশিষ্টজনদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি অংশ নেন।
তবে কোনো বক্তব্য দেননি এই মুক্তিযোদ্ধা।
২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে সখিপুর উপজেলার হতেয়া হাজী হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আল্লাহ যদি আমাকে বেহেশতেও নিতে চান, আমি জামায়াতের সঙ্গে বেহেশতে যাব না।
কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। যুদ্ধের সময় মা-বোনের ইজ্জত হরণ করতে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছে
জামায়াত ছাড়া কারো সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। ’
এছাড়া ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজধানীতে গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু অংশের সমাবেশেও বঙ্গবীর বলেছিলেন, ‘যতোদিন বিএনপিতে জামায়াত থাকবে, ততোদিন বিএনপিওয়ালারা আমাকে কাছেও পাবে না।
আমাকে জামায়াতের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা যদি বেহেশতে নিতে চান, আর তখন যদি জ্ঞান থাকে বলবার মতো, আমি বলবো, জামাতের সাথে আমি বেহেশতেও যেতে চাই না। ’
তিনি আরো বলেছিলেন, ‘জামায়াত জাতির কাছে মাফ চাক, ভুল স্বীকার করুক, তারপর রাজপথে আসুক। ’
এদিকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে অংশ নেওয়ায় তার দলের মধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দলটির নেতাকর্মীরা মনে করছেন, জামায়াত নিজেদের রাজনৈতিক বৈধতা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে ব্যবহার করেছে। কখনো টিভি টকশোতে। কখনো বা পত্রিকায়। কিন্তু তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো বঙ্গবীরের মতো একজন কিংবদন্তী যোদ্ধাকে বিতর্কিত করা। মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করা।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সূত্র জানায়, এই প্রথম মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী হিসেবে পরিচিত জামায়াতে ইসলামীর দলীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন কাদের সিদ্দিকী
শেয়ার করুন